Site icon The Daily Moon | Popular Bangla News | National | International | Education | Entertainment | Religion | Employment

আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে ঢাবি ছাত্রনেতারা

আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার দাবি

করোনা পরিস্থিতে আবাসিক হল না খোলার শর্তে সশরীরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থগিত থাকা অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন এবং অন্যান্য পরীক্ষাসমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী ১ জুলাই থেকে অনুষ্ঠিত হবে।

এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ‘হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দাও’ আন্দোলনের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

তাদের মতে, আবাসিক হল খুলেই পরীক্ষা নিতে হবে। এমনকি আমাদের দাবি ধাপে ধাপে পরীক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দিতে হবে। পাশাপাশি ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে‍। পূর্বে স্থগিত পরীক্ষাসমূহ ১৫ জুন থেকেই নিতে হবে‍।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দাবিও একই। তাদের মতে, আবাসিক হল খুলেই পরীক্ষা নিতে হবে, হল না খুলে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অবান্তর। তারা আরো বলেন, করোনার বন্ধে যেসব নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থী টিউশনি করে তাদের পড়াশোনা চালাতো তারা আর্থিক-মানসিকভাবে খুবই বিপদে আছে। এখন মেসভাড়া বহল করা তাদের কষ্টে খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এই অবস্থায় সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার আগে হলগুলো খুলে দিতে হবে।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানায় আমরা। হল না খুলে পরীক্ষা নেওয়ার যে বক্তব্য-সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে তা অবান্তর। কারণ যেসব শিক্ষার্থী টিউশনি করে চলতো তারা কিভাবে মেসভাড়া দিয়ে পরীক্ষা দিবে। একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। তারপর করোনা টিকা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে অনেক সংকট সৃষ্টি হবে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নরুল হক নুর বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই এই পরিস্থিতিতে এত দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকেনি। সেক্ষেত্রে ছাত্র অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ছাত্র-সংগঠন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের উপর শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তারা মাদক, অনলাইন আসক্তিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তাই যেকোনো ভাবে হোক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াটা এখন সময়ের দাবি।

ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বারবার দাবি জানিয়ে আসছি ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার জন্য। যেখানে দেশের সবকিছু আগের মত চলছে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

Exit mobile version