ইরানের যেসব নারী যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, শত্রুদের হাতে বন্দি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তারা ইসলামি বিপ্লবের গর্ব বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সংগ্রামী নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে জাতীয় কংগ্রেসে পাঠানো এক বার্তায় মঙ্গলবার এসব কথা বলেন তিনি।
খামেনি বলেন, ইরানি নারীদের সামনে সংগ্রামের পথ খুলে দিয়েছে ঈমানি শক্তি। তারা নানা ক্ষেত্রে সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে বিস্ময়কর এবং নজিরবিহীন অবদান রাখছেন। আর সেটা সম্ভব হচ্ছে ঈমানি শক্তির কারণেই।
তিনি বলেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গবেষণা, শিল্প-সাহিত্য, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের পাশাপাশি চিকিৎসা ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বিপজ্জনক রোগ মোকাবিলায় সাম্প্রতিক অবদান ইরানি নারীদের আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের নিদর্শন।
ইসলামী শিক্ষা এবং দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থার কল্যাণে এটা সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, সাবেক পাহলভি রাজতন্ত্রের আমলে বহু নারীর ওপর পাশ্চাত্যের অনৈতিক সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও ইরানি নারীরা নিজেদের ইসলাম প্রদত্ত মর্যাদা, অবস্থান ও পবিত্রতার কাছাকাছি নিয়ে আসতে পেরেছেন। এটা অনেক বড় অর্জন।