Site icon The Daily Moon | Popular Bangla News | National | International | Education | Entertainment | Religion | Employment

করোনায় উৎসবহীন পহেলা বৈশাখ

‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো… মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ করোনার মধ্যে আরও একবার এসেছে বৈশাখ। এবারও বৈশাখ উৎসবহীন। গত বছরের মতো ঢাকের বদলে আজও চারদিকে বাজছে মৃত্যুর বাজনা। ফলে বাঙালির জীবন উৎসবের পরিবর্তে তছনছ হয়ে গেছে। আজই শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। তবুও আজ পুরনো বছরের জীর্ণকে পেছনে ফেলে নতুনভাবে শুরুর সংকল্প নেবে বাঙালি।

আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাঙালির নতুন বছরের প্রথম দিন। সূচনা হলো বাংলা ১৪২৮ সালের। তবে এদিনে সবার জীবন অবরুদ্ধ গরে। ঘরে বসে এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন হচ্ছে। আজ বাসায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবার কাটবে দিনটি।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বাঙালির জীবনে বাংলা নববর্ষের আবেদন চিরন্তন ও সর্বজনীন। বাঙালির এক আনন্দ-উজ্জ্বল মহামিলনের দিন। এ দিনে রাষ্ট্রপতি সব বাংলাদেশিকে শুভেচ্ছা জানান।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। এদিন সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতা ভুলে সবাইকে নব-আনন্দে জেগে ওঠার আহবান জানান তিনি। সবাইকে সীমিতভাবে জনসমাগম এড়িয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘরে বসে বাংলা নববর্ষ উদযাপনেরও আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশনার কারণে এবার শারীরিক উপস্থিতির কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না। রমনার বটমূলে থাকবে না ছায়ানটের বর্ষবরণ। চারুকলায় থাকছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা। আর উদীচী, খেলাঘর, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, ছায়ানটসহ বিভিন্ন সংগঠন এবারও উদযাপন থেকে নিজেদের বিরত রাখছে।

সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল এ উপলক্ষ্যে প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। এছাড়া সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে ক্রোড়পত্র। এদিন সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

জানা গেছে, ছায়ানট তাদের ইউটিউব চ্যানেলে স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠান করবে। রেকর্ড করা এক ঘণ্টার অনুষ্ঠানমালা সকাল ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রচার করবে। একইসাথে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেলেও (youtube.com/ ChhayanautDigitalPlatform) অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে।

এবার মঙ্গল শোভাযাত্রা করবে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। তবে নিজেদের তৈরি বিভিন্ন প্রতীক ও মোটিভ গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য অনুষদে প্রদর্শন করবে। এদিকে সকাল ১১টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফেসবুক পেজে সরাসরি ‘নববর্ষ বরণ ১৪২৮’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা যাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ফেসবুক পেজে (https://www.facebook.com/ liberationwarmuseum.official)।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। তাদের ফেসবুক পেজের এই আয়োজনে অংশ নেবেন- শিল্পী রফিকুল আলম, সুজিত মোস্তফা, বিশ্বজিৎ রায়, অনুপমা মুক্তি ও শাহনাজ বেলী। অনুষ্ঠান। দেখা যাবে এই ঠিকানায় – (https://www.facebook.com/ groups/2635285070125355)।

Exit mobile version