করোনাভাইরাসের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য ১৯ জুন অনুষ্ঠেয় গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজক কমিটি। একইসঙ্গে সভায় আবেদনের শেষ সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এতে পরীক্ষার তারিখ পুন:নির্ধারণ করা হয়নি।
সভা শেষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষার সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।”
কবে নাগাদ পরীক্ষা নেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত নিতে সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কর্তৃপক্ষ। এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক আবেদনের সময়ও বাড়ানো হয়েছে। ২৫ জুন রাত ১২ টার মধ্যে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় গুচ্ছ ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পূর্বের তারিখ স্থগিত করা হয়েছে এবং আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৫ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। পরবর্তীতে সকল বিষয়ে একেক করে আলোচনার ভিত্তিতে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।
প্রাথমিক বাছাইয়ে যারা উত্তীর্ণ হবেন, সেই শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৬০০ টাকা জমা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে। যোগ্যতা অনুযায়ী সব শিক্ষার্থী প্রাথমিক আবেদন করতে পারলেও একযোগে যতজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া যাবে, মেধার ভিত্তিতে ততজনকে চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে।
অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, “আমরা শীঘ্রই বসব। তখন কারা চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে পারবে তা জানিয়ে দেব। একই সাথে চূড়ান্ত আবেদনের সময়ও জানিয়ে দেওয়া হবে।”
এর আগে, ভর্তির প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিপিএ ৮, বাণিজ্যের সাড়ে ৭ এবং মানবিকের শিক্ষার্থীদের জিপিএ ৭ থাকার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছিল।
সেখানে ভর্তিচ্ছুদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জিপিএ ন্যূনতম সাড়ে ৩ করে থাকার শর্ত ছিল। মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের বেলায় এ ক্ষেত্রেও কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, তারা এ বছর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেলেও পরবর্তীতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে এ সুযোগ থাকবে না।