বঙ্গোপসাগরের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বুধবার (২৬ মে) উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তার আগে দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে খুলনা বিভাগে তুমুল বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার।
বৃষ্টির এ ধারা মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে শুরু হওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
রোববার (২৩ মে) সকাল সোয়া ৮টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির ওপর নির্ভর করবে বৃষ্টির পরিমাণ কেমন হবে। তবে আমরা ধারণা করছি ২৫ তারিখ থেকে সারাদেশে বৃষ্টি হবে। চট্টগ্রামের দিকে কিছুটা কম হলেও সারাদেশেই কমবেশি বৃষ্টি হবে।
তিনি জানান, যদি খুলনা উপকূলের দিক দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যায়, তাহলে দেশজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হবে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কোথাও কোথাও ১ থেকে ২০০ মি.লি. ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর পশ্চিম বঙ্গের দিক দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি গেলে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে যাবে।
ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি বিষয়ে এই আবহাওয়াবিদ জানান, তথ্য সংগ্রহ চলছে। সকাল ১০টার দিকে আপডেট জানা যাবে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যা ২৬ মে নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে।
এছাড়া ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় এবং কুষ্টিয়া অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পাশাপাশি রাঙ্গামাটি, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ফেনীতে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮৮ মি.লি.।