‘পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে’ ট্রাক চাপা দিয়ে একটি মুসলিম পরিবারের চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। কানাডার অন্টারিও প্রদেশের লন্ডন শহরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনায় ২০ বছর বয়সী একজন কানাডিয়ান ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, রোববার রাতে তারা প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। বাবা, মা, মেয়ে, ছেলে এবং নানি। এমন সময় একটি গাড়ি এসে তাদের ধাক্কা মারে। পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তিনি ইচ্ছে করে এবং হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে এই পরিবারকে ধাক্কা মেরেছে।
নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী রয়েছেন। তাদের একজনের বয়স ৭৪ বছর এবং অপরজনের বয়স ৪৬ বছর। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে এবং ৪৬ বছর বয়সী একজন পুরুষ রয়েছেন। এছাড়া পরিবারের নয় বছর বয়সী এক শিশু হামলায় বেঁচে গেছে। আহত অবস্থায় একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
দেশটির পুলিশ প্রধান স্টিভ উইলিয়ামস বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস, ২০ বছর বয়সী গাড়িচালক ইচ্ছে করেই এই কাজ করেছে। আমাদের বিশ্বাস, এই পরিবারকে সে টার্গেট করেছিল, কারণ তারা মুসলিম। এটা হেট ক্রাইম।’’
এই হামলায় অভিযুক্ত ২০ বছর বয়সী কানাডিয়ান এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে একটি শপিং সেন্টার থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত যুবক কোন মুসলিম বিদ্বেষী গ্রুপের সাথে সম্পৃক্ত কি না সেটি এখনো পরিষ্কার নয়।
স্থানীয় মেয়র জানিয়েছেন, মুসলিম-বিদ্বেষের কারণেই হত্যা করা হয়েছে। শহরের চার লাখ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার মুসলিম। এই ঘটনার জন্য শহরের পতাকা তিনদিনের জন্য নামিয়ে রাখা হবে।
ঘটনার পর পরই টুইট করে ভুক্তভোগী মুসলিম পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেছেন, আমি লন্ডন এবং দেশের সব মুসলিমকে জানাচ্ছি, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমাদের দেশে ইসলামোফোবিয়ার কোনো স্থান নেই। এই ধরনের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।