রাজধানী ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মঙ্গলবার (০১ জুন)। ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ঢাকায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিতে রাজধানীতে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
বসুন্ধরা, মালিবাগ, বনানী, ধানমন্ডি, পান্থপথ, মিরপুর, গ্রিন রোড, এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। সবাই যেন এই জলাবদ্ধতায় আবদ্ধ। রাস্তায় কোমরসমান পানি, তীব্র জ্যাম আর যানবাহন সঙ্কটে রীতিমতো নাকাল রাজধানীবাসী। বুধবারও ঢাকা অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন জানান, বৃষ্টিপাত এখন পশ্চিমাঞ্চলের দিকে কমে আসছে। ৩ থেকে ৫ জুন এই অঞ্চলে বৃষ্টি একেবারে কমে যাবে। তখন শুধু উপকূলীয় এলাকা ও পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি থাকবে। বৃষ্টি বেশি হবে সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খুলনা অঞ্চলে।
আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, পুবালি ও পশ্চিমা বায়ুর সংমিশ্রণে স্থানীয়ভাবে একটা বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়েছে। সেটার প্রভাবেই দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত) সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে, ১০৩ মিলিমিটার। এ ছাড়া বিভাগটির সীতাকুণ্ডে ৪২, ফেনীতে ৩০ মিলিমিটারসহ প্রায় সব এলাকাতেই কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে। সিলেট বিভাগের মধ্যে সিলেট শহরে বৃষ্টি হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার, শ্রীমঙ্গলে ৬ মিলিমিটার।
ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে নেত্রকোনায় ৯৫ ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগেও বৃষ্টি হয়েছে। রংপুর বিভাগে বৃষ্টি তেমন একটা হয়নি। এই অঞ্চলসহ পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাত এখন কমের দিকে রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ৬ তারিখের পর আবার ঢাকা ও বরিশাল অঞ্চলে বৃষ্টি বাড়বে। আবহাওয়াবিদদের মতে, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিকে ভারী বৃষ্টিপাত বলে। ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিকে বলা হয় মাঝারি বৃষ্টিপাত, আর ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিকে বলে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত।