Site icon The Daily Moon | Popular Bangla News | National | International | Education | Entertainment | Religion | Employment

নদীতে ফুল ভাসিয়ে ‘বৈসাবি’ উৎসব, করোনামুক্তি কামনা

নদীতে ফুল ভাসিয়ে দেওয়ার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী ‘বৈসাবি’ উৎসব। সোমবার ভোরে সবার মঙ্গল কামনায় কলাপাতায় করে ভক্তি শ্রদ্ধাভরে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশে চেঙ্গী নদীসহ বিভিন্ন প্রবাহমান ছড়া-খালে ফুল ভাসিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন পাহাড়ি শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা।

ফুল সংগ্রহ করে খাগড়াছড়ির চেঙ্গীনদী ও বিভিন্ন ছড়া-খালে ফুল দিয়ে উপগুপ্ত বুদ্ধের উদ্দেশ্যে পুজা করেন। অনেকে নদীতে ফুল ভাসিয়ে দেন। এবার ফুল বিজুর প্রধানতম প্রার্থনা ছিল করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তিলাভ করা। এছাড়া পুরোনো বছরের দুঃখ গ্লানি ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছু প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন পাহাড়িরা।

সকালে খাগড়াছড়ির খবং পড়িয়া এলাকায় চেঙ্গী নদীর পাড়ে নদীতে ফুল ভাসানো উপলক্ষে বসে মিলনমেলা। নানান বয়সের মানুষ বন-জঙ্গল থেকে সংগৃহিত ফুল নিয়ে হাজির হয় নদীর পাড়ে। কলাপাতা করে ভক্তি শ্রদ্ধাভরে গঙ্গাদেবীর উদ্দ্যেশে ফুল ভাসিয়ে পুরাতন বছরের গ্লানি ভুলে নতুন বছরের শুভ কামনা করেন। অনেকে জ্বালায় মোমবাতি।

ফুল ভাসাতে আসা তনুশ্রী চাকমা বলেন, ফুল ভাসানোর মধ্যদিয়ে আমাদের বৈসাবি উৎসব শুরু। প্রতি বছর দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকি। গঙ্গাদেবীর কাছে সবার জন্য প্রার্থনা করেছি। আমরা যেন করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পারি। সবাই যেন ভালো থাকে।

ধীমান খীসা ও সাধনা চাকমা বলেন, ফুল বিজুর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বৈসাবি উৎসব শুরু হয়েছে। তবে এবার করোনা মহামারির কারণে এবার আয়োজনটুকু ঘরোয়াভাবে পালিত হবে। কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না। আশা করি, আগামী বছর দ্বিগুণ আনন্দ নিয়ে উৎসব আয়োজন করতে পারবো।

মহামারি করোনার কারণে এবার বৈসাবি উৎসবের কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা ফুল বিজু পালন করেছেন যথারীতি। তবে বৈসাবিকে ঘিরে অন্যান্য বছরের মতো এবার পাহাড়ের পাড়া-পল্লীতে উৎসবের আমেজ নেই। নেই ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার আয়োজনও।

ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিজু’ নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব উৎসব নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়। বাঙালিরাও এ উৎসবে সামিল হন নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে। নামে ভিন্নতা থাকলেও উৎসবের রং থাকে একই।

Exit mobile version