ক্যান্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে ৪৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রবীণ জয়াবক্রিমা ও রামেশ মেন্ডিসের স্পিনে ধুঁকছে বাংলাদেশ। অসম্ভব এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৫৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা।
লাঞ্চের পর ৯ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। ততক্ষণে তাদের লিড ছিল ৪৩৬ রান। এত বড় লক্ষ্যের বিপরীতে খেলতে নেমে আগ্রাসী সূচনাই করেন ওপেনার তামিম। ৭ ওভারে স্কোর হয়ে যায় ৩১। কিন্তু পরের ওভারে রামেশ মেন্ডিসের অফ স্পিনে পরাস্ত হন তিনি। কটবিহাইন্ড হয়ে তামিম ফেরেন ২৪ রানে। তার ২৬ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছয়।
১২তম ওভারে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন সাইফ হাসান। রামেশের ঘূর্ণিতে লেগবিফোরের আবেদন উঠলে আঙুল তুলেছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু সাইফ রিভিউ নিলে দেখা যায় বল স্টাম্প মিস করেছে। এর পর রান তোলার দিকে মনোযোগী হতে থাকেন তিনি। বিগত ইনিংসগুলোতে রান না পাওয়া সাইফ শেষ পর্যন্ত করতে পারেন ক্যারিয়ার সেরা ৩৪ রান। কিন্তু বাজে শটে এর পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। জয়াবিক্রমার ঘূর্ণিতে তালুবন্দি হয়েছেন লাকমালের।
শান্ত এর পর মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গেলেও থিতু হতে পারলেন না। প্রথম ইনিংসের সেরা স্পিনার জয়াবিক্রমা অসাধারণ এক টার্নে বোল্ড করেন শান্তকে (২৬)। তার বিদায়ে দ্বিতীয় সেশনেই ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
বিরতির পর অধিনায়ক মুমিনুল প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন যদিও। কিন্তু রামেশ মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে তিনি বোল্ড হয়ে ফেরেন ৩২ রানে। কাট করতে গেলে এনসাইড এজ হয়ে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। এর আগে অবশ্য জীবন পেয়ে যান অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ২৮.৩ ওভারে মুশফিকের ক্যাচ ফেলে দেন স্লিপে দাঁড়ানো থিরিমান্নে। মুশফিকুর রহিম ব্যাট করছেন ৩০ রানে, লিটন ৬ রানে ।