ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সদ্য সাবেক ভিপি নরুল হক নুর প্রাইভেটকারের দুই দফা ধাক্কা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়ার যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. হারুন-অর-রশিদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ডাকসু সাবেক ভিপি নুর মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়নি। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। দূর্ঘটনার শিকার এক যুবকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নুর মিথ্যা রটিয়েছে। পুরো ঘটনা সাজানো। আর প্রাইভেটকারটি কোনো সচিবের নয় বা সচিবালয়ে স্টিকার ছিলো না এটি ব্যক্তিগত গাড়ি।
এর আগে এ বিষয়ে রাত সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন নুর। অভিযোগে তিনি জানান, রাত ১১ টার দেক তার বাসা বাড্ডায় ফেরার পথে মালিবাগ ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ- ৩১-৬৫০৮) তাদের অনুসরণ করে তাড়া করে।
পরপর দুইবার প্রাইভেটকারটি নুরদের মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু মোটরসাইকেল চালক আমিনুল ইসলাম (২৪) কৌশলে প্রাইভেটকারের ধাক্কা এড়িয়ে যাওয়ায় উক্ত প্রাইভেটকারটি হাতিরঝিল থানাধীন ডি.আই.টি রোড আবুল হোটেল এর সামনে একটি বাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
অভিযোগে বলা হয়, বাসের সাথে ধাক্কা দেওয়ার পরে প্রাইভেটকারটির চালক গাড়িটিকে কিছুটা পিছনের দিকে নিয়ে পুনরায় নুরদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে ইতোমধ্যে স্থানীয় জনসাধারণ এগিয়ে আসলে প্রাইভেটকারটি ইউটার্ন নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে নুরুল হক নুর বলেন, ঘটনা সংঘটনের সময় তিনি মোটরসাইকেলে না থেকে পাশের অন্য একটি গাড়িতে ছিলেন। তার সহযোগী শাকিল উজ্জামান ও মো. সোহরাব হোসেন পিছনের আরেকটি গাড়িতে থেকে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন।
হত্যার উদ্দেশে এমনটা করা হয়েছে দাবি করে নুরুল হক নুর বলেন, গাড়িচাপা দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। অতএব উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি আমার নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।