ড. আসিফ নজরুল: আনভীর বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি। আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। আনভীর বিদেশে চলে যাবে। এজন্য কাউকে শাস্তি পেতে হবে না। সে কখনো বাই চান্স গ্রেফতার হলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে জামিন পাবে।
তার কোন রিমান্ড হবে না। তার পরিবারের সদস্যদের (যাদের নাম অভিযোগপত্রে আছে) বিষয়ে পত্রিকায় কিছু লেখা হবে না। সোস্যাল মিডিয়ায় ভিকটিম মেয়েটি ও তার পরিবার কতো খারাপ এ নিয়ে একদল মানুষ লেখা শুরু করবে।
মিডিয়ায় বসুন্ধরার বিজ্ঞাপন বাড়বে। কালোটাকার লেনদেন বাড়বে। দু’একজনের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হবে। মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট হবে (বা বাতিল হবে)। না হলে ঝুলে থাকবে। সাক্ষী বা প্রমান পাওয়া যাবে না। আমরা সব ভুলে যাবো।
পড়ুন: গুলশানে তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর, যা জানা যাচ্ছে
আবারো আনভীরের হাসিমাখা মুখের ছবি সর্বোচ্চ্ ক্ষমতাধরদের সাথে দেখা যাবে। আনভীর আরো কোন বড় অপরাধ করার কনফিডেন্স পাবে। একদল আবারো বলবে বিকল্প কি! (বার্তা: আনভীর বিরোধী দল বা ভিন্নমতালম্বী না, রামপাল বিরোধী না, সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদী না। সে উপযুক্ত জায়গায় দানশীল ডীপ স্টেট। কাজেই সে নির্দোষ।) [ফেষবুক থেকে সংগৃহীত]
লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়