মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতাকারী হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া। এই সমস্ত অর্বাচীন কথা, এই সমস্ত আস্ফালন বন্ধ করে দিন। না হয় বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষ রাজপথেই এর জবাব দেবে। তার পরিণাম ভালো হবে না।
মঙ্গলবার ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে মানববন্ধনে একথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান অবমাননার অভিযোগে হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরী এবং যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের গ্রেপ্তার দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, ইসলামকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল, আমি জানি না, তাদের প্রেতাত্মারাই আবার এই ধরনের আস্ফালন করছে কি না? সরকারের উচিৎ অবিলম্বে তাদের কার্যক্রম এবং এই যে সংবিধানবিরোধী বক্তব্য সেগুলো খতিয়ে দেখে আইনের শাসন কায়েমের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এটা কি ব্যক্তিগত খামখেয়ালিপূর্ণ উক্তি, নাকি সুপরিকল্পিত উক্তি, ভালোভাবে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, নব্বই ভাগ মুসলমান যে দেশে, সে দেশে কিছু লোক ধর্ম ব্যবসায়ী হয়ে, ইসলাম ধর্মের অবমাননা করেন, অপব্যাখ্যা করবেন ইসলামের.. আর ইসলাম প্রিয় মানুষ নীরবে সেটা দেখবে, কিছু বলবে না, এটা তো হতে পারে না। ধর্ম কারও কাছে লিজ দেওয়া হয় নাই। কোনো গোষ্ঠীর কাছে কেউ ধর্মকে লিজ দেয় নাই। ধর্মের রক্ষক আপনারা কয়েকজন নন। এই দেশের মানুষ যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, তারাই ধর্মের রক্ষক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী চলছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ধৃষ্টতা! সুনির্দিষ্টভাবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বলার পরেও এখনও কেউ কিছু বলে নাই। আমি মনে করি, এটাই আপনাদের সৌভাগ্য। আর এই ধৃষ্টতা দেখাবেন না। দেখালে পরিণামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য রাখলেও হেফাজতের নেতাদের এখনও সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে কিছু বলা হয়নি, যাকে তাদের সৌভাগ্য বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।