বাজারে পাওয়া যাচ্ছে আনারস। সর্দিকাশি, জ্বরের মতো বিভিন্ন রোগবালাই সারাতে এর জুড়ি নেই। এছাড়াও আনারসের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। এক কাপ (১৬৫ গ্রাম) আনারসে রয়েছে- ক্যালোরি ৮২.৫, ফ্যাট ১.৭ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ২১.৬ গ্রাম, ফাইবার ২.৩ গ্রাম, ভিটামিন সি আরডিআই এর ১৩১%, ম্যাঙ্গানিজ আরডিআই এর ৭৬ শতাংশ, ভিটামিন বি৬ আরডিআইএর ৯%, এছাড়া্ও এতে রয়েছে কপার, ফলিত, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রন।
পাশাপাশি অনারসে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ এবং কে, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়াম। যেসব কারণে আনারস খা্ওয়া উচিত তার কয়েকটি কারণ তুলে ধরা হলো-
১. আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন, যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
২. আনারস ওজন কমাতে্ও সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার এবং অনেক কম ফ্যাট রয়েছে।
৩. আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ-প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৪. দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির (রক্তবাহী নালি) দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে। হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে।
৫. আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। এটি আমাদের চোখ সুস্থ রাখে।
৬. আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৭. আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।
তবে আনারাসের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।