অনেকে মজা করে বলেন, বিয়ের কোন বয়স নেই, বিয়ের কোন সংখ্যা নেই। কিন্তু জিম্বাবুয়ের ৬৬ বছর বয়সী মিশেক নায়ানডোরোর কাছে বিয়ের বয়স কিংবা সংখ্যা কোনটাই নেই! আর এ কারণেই ১৬ স্ত্রী ও ১৫১ সন্তানের পিতা হয়েও থেমে নেই মিশেক। লক্ষ্য বহুদূর, স্বপ্নটাও আকাশছোঁয়া।
এক সময়ের যুদ্ধে অভিজ্ঞ ব্যক্তিটি শয়নকক্ষেও যে অভিজ্ঞ তা আর বলতে! যুক্তরাজ্যের ট্যাবলয়েড মেট্রো জানাচ্ছে মিশেক তার ১৬ স্ত্রীর মধ্যে পালা করে প্রতি রাতে চার স্ত্রীর সাথে ঘুমান এবং তিনি তার ১৭ তম বিয়ে করার জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
গর্বভরে স্থানীয় সংবাদপত্র দ্য হেরাল্ডকে মিশেক বলছিলেন, আমার প্রকল্পটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এটি হলো একটি বহুবিবাহ প্রকল্প যেটি আমি ১৯৮৩ সালে শুরু করেছিলাম এবং একমাত্র মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু আমাকে এটা থেকে সরিয়ে নিতে পারবে না। ১০০ নারীকে বিয়ে করা এবং এক হাজার শিশু জন্মদানের মাধ্যমেই আমার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এটাই আমার ফুল টাইম জব। আমি আর অন্য কিছু করি না।
ঘুমের আয়োজনটা ঠিকঠাক করার জন্য আমি আগেই শিডিউল ঠিক করে রাখি। শিডিউল অনুযায়ীই আমি নির্দিষ্ট শয়নকক্ষে ঢুকি, এক স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করে তারপর অন্য ঘরে ঢুকে পড়ি।
প্রত্যেক স্ত্রীর বয়স অনুসারে শয়নকক্ষে মিশেক তার আচরণ পরিবর্তন করেন, ‘বয়স্কদের সাথে আমি যেমন আচরণ করি ছোটদের সাথে তেমনটা করি না।‘ দেড় শতাধিক বাচ্চা হওয়ায় তিনি কোন আর্থিক চাপতো অনুভব করেনই না বরং তিনি এই বিশাল পরিবার থেকে উপকৃত হচ্ছেন দাবি করে বলেন, ‘আমার বাচ্চারা আমাকে নষ্ট করছে। আমি নিয়মিত আমার এবং সৎ পুত্রদের কাছ থেকে বিভিন্ন উপহার এবং নগদ টাকা পাই।‘
এই আত্মবিশ্বাসী বহুবিবাহবিদ দাবি করেন যে, তার সব স্ত্রী-ই তাকে নিয়ে খুব খুশি। তবে তিনি অতিরিক্ত ‘যৌন চাহিদা’ দাবি করেন বয়স্ক স্ত্রীরা এমন অভিযোগ করার কারণে তিনি এখন আরও অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে করার পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রত্যেক স্ত্রী-ই আমার জন্য প্রতিদিন রান্না করে তবে খাবার সুস্বাদু না হলে আমি তা খেতে পারি না। রুচি না হলে সেগুলো ফিরিয়ে দেই। ওরা সবাই ব্যাপারটা জানে। ওরা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে আমি ওদের খাবার ফেরত পাঠালেও ওরা রাগ করবে না। কোন কিছু ফেরত পাঠানোটা আসলে ওদের জন্য একটা শিক্ষা যা ওদেরকে আরো ভালো রাঁধতে উৎসাহিত করে।