২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তা পেছানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পরীক্ষা পেছানোর দাবি উঠলেও তা নির্দিষ্ট তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকাল ৩টায় সচিবালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ভর্তি পরীক্ষার আয়োজক কমিটির সভাপতি ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আজকের সভাটি মূলত পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত ছিল। এতে পরীক্ষা পেছানোর ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। এ সময় পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আন্দোলন করছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গ্রুপও খুলেছেন তারা। সেখানে পরীক্ষা পেছানোর নানা যুক্তি উপস্থাপন করছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে চান না তারা। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সব পরীক্ষা পিছিয়েছে। তাহলে তারা কেন ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা দেবেন।
তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর বলছেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে তবে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আমরা দেখি না। শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট সময় পেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পরীক্ষা দিতে পারলে তারা ভালো করবে বলে আমরা মনে করছি। তাই নির্দিষ্ট সময়েই মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে দেশব্যাপী মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা করোনা ভ্যাকসিন না দেয়া পর্যন্ত পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছে।
দেশে বর্তমানে সরকারিভাবে পরিচালিত মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৭টি। এগুলোতে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। এ বছর ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১টি আবেদন জমা হয়েছে। আসনপ্রতি লড়বে ২৮ জন শিক্ষার্থী।