চলমান সর্বাত্মক বিধিনিষেধের পর জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) বরিশাল সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
বিধিনিষেধ শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে যে ভাড়া নির্ধারণ ছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
গতকাল (২৩ এপ্রিল) সর্বাত্মক লকডাউন আর বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। চলমান লকডাউন শেষ হবে আগামী ২৮ এপ্রিল। তবে লকডাউন না থাকলেও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে গণপরিবহন ও সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ অন্যান্য বিষয়াদি।
তিনি বলেন, মানুষ মাস্ক পড়বে, শারীরিক দূরত্ব মেইনটেইন করবে। আমরা যদি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারি তাহলে জীবন ও জীবিকা দুটোই চালাতে পারব। তাছাড়া আগামী কয়দিনে সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, বিধিনিষেধের মধ্যেই দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বেচাকেনা করতে হবে। আগামী রবিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সামনে লকডাউন সেভাবে আর বাড়বে না। তবে জীবনযাত্রা কীভাবে চলবে সে বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সেখানে অফিস ও জনবল বা অন্যান্য বিষয়টি নিয়ে উল্লেখ করা থাকবে।
এর আগে, করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৮ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন আরোপ করা হয়। এ বিষয়ে ১৩টি নির্দেশনা দেয় সরকার। ৮ দিনের সেই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হয় গত ২১ এপ্রিল। পরে তা আরো এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়। এই লকডাউনের আগে গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করে সরকার।