আপনি কি ফ্রিল্যান্সার? ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ‘প্যারা’ খাওয়া কি আপনার প্রতিদিনের রুটিন? প্রায়ই কি কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে বনে-জঙ্গলে চলে যেতে ইচ্ছে করে? তাহলে আপনার জন্যই এই লেখা-
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ক্লায়েন্ট সামলানোর তরিকা
১. ২ টাকা দিয়ে যারা ৪ টাকার কাজ চায় এবং কাজ পাওয়ার পর ‘কাজটা কেন ৮ টাকার কাজ হলো না?’ ধরনের কথা বলে, তাদের নাম ‘ক্লায়েন্ট’।
২. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দার্শনিকের মতে, একাধিক উত্তম আইডিয়ার মধ্য থেকে সবচেয়ে খারাপ আইডিয়া বেছে নেওয়া ব্যক্তিদেরও ক্লায়েন্ট বলা হয়।
৩. ‘এইবার বাজেট একটু কম, কোনোরকমে করে দেন!’ ক্লায়েন্টের মুখে এ ধরনের কথা শুনে গদগদ হয়ে কাজ নেবেন না। তাদের বাজেট শুধু ‘এইবার’ নয়, প্রতিবারই কম থাকে। আর কাকুতিমিনতি করে বাজেট যত কমই দিক, কাজ বুঝে নেওয়ার বেলায় পান থেকে চুন খসলেই কিন্তু গেছেন!
৪. কাজ আগেভাগে শেষ হলেও ডেডলাইনের আগে কখনো ডেলিভারি দেবেন না। হাতে সময় না থাকলেও ক্লায়েন্ট ফিডব্যাক দিতে পছন্দ করে, সেখানে হাতে যদি সময় পায় তাহলে তো…!
৫. ক্লায়েন্টের ফিডব্যাকবিদ্যা সম্পর্কে বিজ্ঞানী নিউটন যদি তিনটি সূত্র আবিষ্কার করে যেতেন, তা হতো এ রকম—
- ফিডব্যাক দিতে দিতে কাজের মান সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় না আসা পর্যন্ত ক্লায়েন্ট ফিডব্যাক দিতেই থাকবে।
- ফিডব্যাক পারিশ্রমিকের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।
- প্রত্যেক ফলোআপেরই একটা সমান ও বিপরীত ফিডব্যাক আছে।
৬. বিশ্বের সব দেশেই ক্লায়েন্ট টাকার বিনিময়ে কাজ চায়। বাংলাদেশে ক্লায়েন্ট টাকার বিনিময়ে কাজ তো চায়ই, সঙ্গে তার অর্থহীন গল্প শোনার জন্য একজন শ্রোতাও চায়। তাই কাজে নামার আগেই হাসিমুখে অন্যের প্রলাপ শোনার অভ্যাস গড়ে তোলা ভালো।
৭. ক্লায়েন্টের চাপাবাজি ধরে ফেলামাত্রই সঙ্গে সঙ্গে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবেন না। সবচেয়ে ভালো হয়, দাঁতে দাঁত চেপে চাপাবাজিটা হজম করে ফেলুন।
৮. ডিজাইনের কাজের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট যে রং চায় সেই রংই দিন। ‘ওই রং মানায় না’—ফ্রিতে হাজারখানেক জ্ঞানগর্ভ বাণী শুনতে না চাইলে ভুলেও এমন যুক্তি দিতে যাবেন না।
৯. কাজ বুঝে পাওয়ার পর বাকি পারিশ্রমিকের জন্য দীর্ঘদিন ঘোরানোর মতো কাজটি ক্লায়েন্টরা দায়িত্ব হিসেবে নেয়। এসব ক্ষেত্রে মিষ্টি কথায় না ভুলে পারিশ্রমিক ছাড়া কাজ ডেলিভারি দেবেন না। নেভার এভার!