চলতি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন গ্রহণ গত সোমবার (১ মার্চ) শেষ হয়েছে। এ বছর মেডিকেলে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১ লাখ ২২ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর বিপরীতে সরকারি ৩৭ মেডিকেল কলেজে ৪ হাজার ৩৫০টি আসন রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি আসনের বিপরীতে ২৮ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে লড়বেন।
পূর্বের চারটির মতো এবারও সুষ্ঠু ও নিখুঁতভাবে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে কাজ করছে ওভার সাইট কমিটি। এই কমিটির প্রধান হলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। গতকাল সোমবার (২২ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকায় কঠোর নিরাপত্তা ও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেই এমবিবিএস পৃষ্ঠা পরীক্ষা নেওয়া হবে। এছাড়া আগামী ৩০ এপ্রিল ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (এনআইএনএস) হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আমির মোরশেদ খসরু ও পরিচালক (মেডিকেল শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব প্রমুখ।
দেশে বর্তমানে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০। আর ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আরো ৬ হাজার ২৮৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। রাজধানী ঢাকার পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠুভাবে এমবিবিএস পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যারা অংশ নিতে পারবেন
বাংলাদেশের নাগরিক, যারা ২০১৭ বা ২০১৮ সালে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় (পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ) উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা মেডিকেলে ভর্তির জন্য আবেদন করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। ২০১৭ সালের আগে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারবেন না।
দেশে কিংবা বিদেশে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ হতে হবে কমপক্ষে ৯। ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও পার্বত্য জেলার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ হতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩ দশমিক ৫০-এর কম হলে শিক্ষার্থীরা আবেদনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না। এছাড়া সবার জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩ দশমিক ৫০ থাকতে হবে।
প্রশ্নফাঁস রোধ ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কঠোর অধিদপ্তর
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সতর্কতা ও কভিড-১৯ থেকে রক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ২ এপ্রিল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুযায়ী সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধান করে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে শিক্ষার্থীদের। খোলা রাখতে হবে কান। আসন বিন্যাসে থাকবে নির্দিষ্ট দূরত্ব। অন্যদিকে প্রশ্নফাঁসসহ সব ধরনের অসদুপায় রোধে শিক্ষার্থী তো বটেই, পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত পরিদর্শকরাও স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। যদিও জরুরি ক্ষেত্রে অ্যানালগ টেলিফোন ব্যবহারের সুযোগ থাকছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সতর্কতা ও কভিড-১৯ থেকে রক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ২ এপ্রিল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুযায়ী সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধান করে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে শিক্ষার্থীদের। খোলা রাখতে হবে কান। আসন বিন্যাসে থাকবে নির্দিষ্ট দূরত্ব। অন্যদিকে প্রশ্নফাঁসসহ সব ধরনের অসদুপায় রোধে শিক্ষার্থী তো বটেই, পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত পরিদর্শকরাও স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। যদিও জরুরি ক্ষেত্রে অ্যানালগ টেলিফোন ব্যবহারের সুযোগ থাকছে।