নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিহতদের মাগফিরাত কামনায় চট্টগ্রামে সোমবার দোয়া মাহফিল করেছে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, হাটহাজারী মাদরাসার কেন্দ্রীয় বায়তুল করীম জামে মসজিদে এ দোয়া মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয় ।
এতে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হেফাজতে ইসলামের আমির, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। আবেগঘন এক মোনাজাতে তিনি শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে আকুতি জানান। এতে হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, হেফাজত নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
তার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় হেফাজত আমির বলেন, মোদির আগমনের প্রতিবাদ করায় নিরীহ ছাত্র ও তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ হেফাজত নেতাকর্মীদের নিহত ও আহত করেছে। পুলিশের এমন হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর ভাষা আমাদের নেই। এসময় আগামী শুক্রবার সারা দেশে অনুষ্ঠিতব্য হেফাজতের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
এতে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা এমরান সিকদার, মাওলানা কামরুল ইসলাম, হাফেজ আব্দুল মাবুদ, মাওলানা আসাদুল্লাহ আসাদ।
এদিকে নগরীর তালিমুল কুরআন মাদরাসা মিলনায়তনে দোয়া-মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম (পীরসাহেব ফিরোজ শাহ)। মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম বলেন, এইদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ। এদেশের পুলিশ গুলি করে নিরীহ মুসলমান হত্যা করবে, এটি বরদাশত করা যায় না। দোষী কর্মকর্তাদের তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, কওমি মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে সরকারের ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। কওমি মাদরাসা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র এদেশের ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতা মেনে নেবে না।