দেশবাসীকে বৈশাখী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহামারীকালে সবাইকে বলেছেন সাবধান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। সেই সঙ্গে আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে সরকার সবার পাশে রয়েছে। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মহামারী মোকাবিলায় দেশবাসীকে সাহস জোগানোর পাশাপাশি সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার পর প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪২ হাজার নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য অর্থ বরাদ্দের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আপনাদের শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সরকার সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে। সংক্রমণ কমাতে বুধবার থেকে যে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ হতে যাচ্ছে, জীবন বাঁচাতে তা মেনে চলতে সবার প্রতি অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, কোনোভাবেই সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তাই আমাদের আরও কিছু কঠোর ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। আমি জানি এর ফলে অনেকেরই জীবন-জীবিকায় অসুবিধা হবে। কিন্তু আমাদের সকলকেই মনে রাখতে হবে – মানুষের জীবন সর্বাগ্রে। বেঁচে থাকলে আবার সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারব।
মহামারীর মধ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশেরও যে একই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে, তাও তুলে ধরেন তিনি। তবে মানুষের জীবন রক্ষার পাশাপাশি অর্থনীতি যাতে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে না পড়ে, সেদিকেও সরকারের নজর থাকার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গণ টিকাদান শুরুর কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই ৫৬ লাখের বেশি মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। যারা প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে দেশের সকলকে টিকার আওতায় নিয়ে আসব। আমাদের সে প্রস্তুতি রয়েছে।
তবে টিকা নিলেই যে সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত হবেন, তেমন না ভাবার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা নেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রত্যেকের কাছের মানুষদের সুরক্ষিত রাখতে যার যার নিজের ভাইরাস সংক্রমণ এড়িয়ে থাকার উপর জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব আমাদের নিজের, পরিবারের সদস্যদের এবং প্রতিবেশীর সুরক্ষা প্রদানের। কাজেই ভিড় এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘরে ফিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে গরম পানির ভাঁপ নিন।