পাকিস্তানের উজ্জ্বল নক্ষত্র, শিক্ষা আন্দোলনকর্মী মালালা ইউসুফজাই। তিনি সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে শিক্ষা এবং নারী অধিকারের ওপর আন্দোলনের জন্য পরিচিত। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি তালেবানদের হাতে গুলিবিদ্ধ হন। নিজের মেধা, মনন ও শ্রম দিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে প্রসংশা কুড়াতে সক্ষম হন। সেই মালালাকেই এবার পড়তে হলো সমালোচনার মুখে।
সম্প্রতি ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক বিখ্যাত ‘ভোগ’ পত্রিকার জুন সংখ্যায় তাকে প্রচ্ছদে স্থান দেওয়ায় একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেই সাক্ষাৎকারে দেয়া বিয়ে বিষয়ক একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মুসলিমসহ অনেকের ক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
বিয়ে প্রসঙ্গে আসলে কী বলেছিলেন মালালা?
এই তরুণী বিয়ে প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আপনি জানেন আপনি সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে, প্রত্যেকে তাদের সম্পর্কের গল্প ভাগ করে নিচ্ছে এবং সেটা দেখে আপনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। আপনি কীভাবে সম্পন্ন নিশ্চিত হয়ে কারো উপর নির্ভর করতে পারেন ?
তিনি আরও বলেন, আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারি না, কেন সবাই বিয়ে করে? জীবনসঙ্গীকে বেছে নিতে হলে, কাগজে সই করার দরকার কী? এটা একটা পার্টনারশিপও তো হতে পারে।’
তার ওই সাক্ষাৎকার নিয়েই নেট দুনিয়া সরগম। সাক্ষাৎকারে বিয়ে প্রসঙ্গে মালালা যা বলেছেন, তা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এমনকি, কেউ কেউ সেই মতকে ‘ইসলামবিরোধী’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
মালালা এখনও এই সমালোচনায় কোনো জবাব দেননি। তবে তার বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই বলেছেন, তার মেয়ের বক্তব্যকে প্রসঙ্গের বাইরে নিয়ে মিডিয়া টুইট করেছে।
ওই সাক্ষাৎকারে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল হিজাব পরার প্রসঙ্গে। এ বিষয়ে মালালা বলেন, ‘এটা আমাদের সংস্কৃতিক প্রতীক। এই পোশাক বুঝিয়ে দেয়, আমি কোথা থেকে এসেছি। আমরা মুসলিম মেয়েরা, পাকিস্তানি মেয়েরা কিংবা পাখতুনের মেয়েরা এটাকে আমাদের পরম্পরা বলেই মানি।’