ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে নিয়ে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, বিশ্ব মানচিত্রে এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠের নাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যার সোনালি ইতিহাসের ছায়া পড়ছে বাঙালি জাতির মুক্তির ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ে। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দ্বিতীয় শতবর্ষের উপযোগী বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়টির শতবর্ষ উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাবি ভিসি বলেন, দেশের শিক্ষা, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বাতিঘর, মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রাণকেন্দ্র এবং গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের লালনক্ষেত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ অতিক্রম করছে তার স্বর্ণালি ইতিহাসের শততম বর্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্রের সৃষ্টি থেকে শুরু করে এই জাতির যা কিছু মহৎ অর্জন, যা কিছু গর্বের। সেটা ঐতিহাসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক এই সব উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পড়ুন: র্যাঙ্কিং নয়, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছি: ভিসি
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বঙ্গবন্ধুকে তো কারো সঙ্গে তুলনা করা যায় না, তিনি একবারেই স্বতন্ত্র। এই জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা যে অনবদ্য অবদান রাখছে, আজকে যে অবস্থানে আমরা পৌঁছেছি তা নিঃসন্দেহে গর্বের।
ঢাবিকে নিয়ে নেয়া পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শতবর্ষকে সামনে রেখে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য ধারণ করে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
পড়ুন: ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি পড়তে গিয়ে ‘হিস্ট্রি’ পেয়েছিলেন ঢাবি উপাচার্য
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা পরিবেশ এবং অত্যাবশ্যক অবকাঠামোসহ সামগ্রিক উন্নয়নের ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন, মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার তহবিল গঠন এবং গবেষণাগারের আধুনিকায়ন, মল চত্বরের ল্যান্ডস্কেপিংসহ ‘সেন্টিনারি মনুমেন্ট’ তৈরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের ওপর মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ প্রভৃতি। শিক্ষকদের কাছ থেকে গবেষণা প্রকল্পের জন্য ২৫১টি গবেষণা প্রস্তাব, বিভাগ/ইনস্টিটিউট/সেন্টারসমূহ থেকে গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ৪২টি গ্রন্থ এবং ২৮টি জার্নালের বিশেষ সংখ্যা প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।