রোজা রাখার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির গবেষকরা বলছেন, রোজা রাখার মাধ্যমে কেউ করোনার বিস্তার ঘটায় না। সুস্থ মানুষের জন্য রোজা রাখা নিরাপদ।
করোনাকালে রোজা শুরু হওয়ায় আগে গত ৭ এপ্রিল জারি করা এক নির্দেশিকায় এসব কথা জানান ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞরা।
ডব্লিউএইচও বলছে, রোজা রাখার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় এমন কোনো প্রমাণ নেই। তবে যারা দীর্ঘ সময় ধরে করোনায় ভুগছেন তারাও রোজা রাখতে পারবেন। রোজা রাখা অবস্থায় তাদের উপসর্গ যদি গুরুতর আকার ধারণ করে, তাহলে তারা চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী রোজা ভাঙতে পারেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, দুঃখের বিষয় যে, চলতি বছর করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আমরা করোনায় অনেক মানুষকে হারিয়েছি। আরও অনেকে সংক্রমিত হচ্ছে। করোনা মহামারি এখন একটি বাস্তব হুমকি। তাই, এই রমজানে আমাদের আরও সচেতন থাকা জরুরি।
রোজায় টিকা নেওয়ার বিষয়ে ডব্লিউএইচও বলছে, শরিয়াহ অনুযায়ী রোজা রেখে করোনার টিকা নেওয়া যাবে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের ইসলামী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনার টিকা নেওয়া ‘ইন্ট্রামাসকুলার ইনজেকশন’। রোজা রেখে টিকা নেওয়াটা ধর্মের খেলাপ হবে না। অতএব টিকা নিলে সমস্যা নেই।
করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি শূন্য বলে কোনো কিছু নেই। যারা টিকা নেওয়ার যোগ্য, রমজানেও তাদের টিকা নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী হওয়া উচিত। এতে তারা ও তাদের কমিউনিটির মানুষজন মহামারি এই ভাইরাসটির প্রকোপ থেকে নিরাপদ থাকবে।