বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন আজকে আওয়ামী লীগের একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করছে। এজন্যই তাদেরকে অবশ্যই একদিন না একদিন জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, এই দিনটি যখন আমরা পালন করছি-আসুন আমরা সবাই সচেতন হই। আমরা দেশের অবস্থা সম্পর্কে, বিশ্বের অবস্থা সম্পর্কে আরো ভালো করে জানি-কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি অনেকের বাসায় গিয়েছি। তাদের মা-বোন-ভাই তাদের এখনও যে আহজারি- এটা কখনোই মেনে নেওয়ার মতো নয়। কিছুক্ষণ আগে আমাকে ফোন করেছিলেন আমাদের আরেকজন মুন্না, আমার পাশেই থাকে দক্ষিনখাণে। তার মা কিছুক্ষণ আগে ফোন করে বলছিলেন যে, বাবা আমার ছেলেটা হারিয়ে যাওয়ার ৮ বছর হলো। তাকে খুঁজতে গিয়ে বাবাও হারিয়ে গেলো। এই যে ডিজ অ্যাপিয়ারেন্স।
তিনি বলেন, তাদের অপরাধ-তাদের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক চিন্তা ছিল, সরকারের মত থেকে ভিন্নমত পোষণ করতো। এই কারণে তাদেরকে হারিয়ে যেতে হয়েছে, খুন হতে হয়েছে। আজকে ইলিয়াস আলীর বাসায় যখন যাই, তখন মনে আছে তার ছোট্ট মেয়েটি যার বয়স ৬ বছর ছিলো এখন তার বয়স প্রায় ১৩/১৪ বছর। তার চোখের দিকে আমি তাঁকাতে পারি না- এটা হলো বাস্তবতা।
ভার্চুয়াল আলোচনায় বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনীতিকরা অংশ নেয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। ভার্চুয়াল আলোচনায় ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, তুরস্ক, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জাপান, ওমান, প্যালেস্টাইনের কূটনীতিকগণ এবং জাতিসংঘ, আইআরআই, আইসিআরসি প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।