বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষে যত দ্রুত সম্ভব ভালো বেতনে চাকরি করতে চান। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষেই চাকরি পাওয়ার ব্যাপাটা বলা সহজ কিন্তু পাওয়া কঠিন। কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় অঙ্গীকারের মাধ্যমেই কেউ তার স্বপ্নের চাকরি পেতে পারেন।
চাকরি খোঁজার প্রক্রিয়া একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এখানে বিভিন্ন ধাপের পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার থাকে। এর মাধ্যমে ব্যক্তিকে যাচাই করা হয় যে তিনি চাকরিদাতার প্রতিষ্ঠানের জন্য ও এ চাকরির জন্য উপযুক্ত কিনা।
চাকরির জন্য প্রস্তুতির সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো অনার্স শেষ করার আগের সময়কাল। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করার সময় একজন ছাত্রের হাতে অনেক সময় থাকে নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে বিশ্লেষণ করার এবং একইসাথে চাকরির জন্য আবেদন করার। অনার্স শেষ না করা ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অবসর সময়কে কাজে লাগাতে পারেন অনলাইনে পেশাদার নেটওয়ার্কিংয়ের সাথে যুক্ত থেকে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তাদের টেকনিক্যাল দক্ষতা বাড়াতে হবে। এছাড়া অন্যান্য দক্ষতাও (সামাজিক যোগাযোগ ক্ষমতা, আচরণগত বিষয়াদি, ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব ও বিভিন্ন মানুষের সাথে মানানসই আচরণ করার দক্ষতা) বাড়াতে হবে।
উদাহরণ স্বরূপ, কেউ যদি তথ্য প্রযুক্তি খাতে বা ডাটা সায়েন্সে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তবে তাকে পাইথন, এসকিউএল ও জুপিটার শিখতে হবে। এছাড়া তাকে সফট স্কিলের আওতায় দল ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও সমস্যা সমাধানের মতো বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। চাকরির জন্য এ বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্র কিভাবে চাকরি পাওয়ার প্রস্তুতি নিবেন তার ধাপগুলো বর্ণনা করা হলো।
সঠিক চাকরি খোঁজা :
আপনাকে এমন চাকরি খুঁজতে হবে যেটা আপনার সামাজিক ও পেশাগত দক্ষতার সাথে সামঞ্জস্য। যে চাকরি করতে চান তার ক্ষেত্র, প্রতিষ্ঠানের নাম, চাকরির জন্য যোগ্যতার বিষয়গুলো জানতে হবে ওই অনুসারে প্রস্তুতি নিতে হবে।
চাকরি খোঁজার শিষ্টাচার :
নিয়োগদাতার কাছে চাকরি চাওয়ার আগে ভালো করে খোঁজ নিন যে এ চাকরির জন্য আপনি যোগ্য কিনা। এরপর চাকরিদাতার কছে একটি আবেদনপত্র লিখে পাঠান। আবেদনপত্রে উল্লেখ করুন আপনি কোন বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, কেন তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং আপনি তাদের কাছে কী চান। এরপর সিভি পাঠান এবং চাকরিদাতার সাথে সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করুন। আর একটা বিষয় উল্লেখ্য যে চাকরি পাবার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। চাকরিদাতাকে সব সময় চাকরির কথা বলে বিরক্ত করা যাবে না।
আপনার সিভিকে সমৃদ্ধ করুন :
আপনার সিভিকে সব সময় সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করুন। আপনি যে সব বিষয় নতুন করে শিখেছেন তা সিভিতে উল্লেখ করুন। এতে চাকরিদাতা আপনার সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করবেন। আর আপনি যে আসলেই চাকরি করতে ইচ্ছুক ও কর্মঠ- এ ব্যাপারে তিনি অবগত হবেন। আপনার সিভির শিরোনাম এমন হতে হবে যাতে চাকরিদাতা আপনার প্রতি আকৃষ্ট হন। আপনার চাকরির সিভিতে আপনার শখ ও আগ্রহের বিষয়গুলোও উল্লেখ করতে ভুলবেন না। এর মাধ্যমে চাকরিদাতা আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। এর মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে নিয়োগ দাতার সাথে আপনার কথা বলতে সুবিধা হবে।
সূত্র : দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া