‘আমরা কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে জাতীয়ভাবে সম্মান দিয়ে ইসলামিক স্টাডিজের মাস্টার্সের সমমর্যাদা দিয়েছি। তারপরও কওমি মাদ্রাসাগুলোকে ব্যবহার করে কেউ অরাজকতা ও অপরাধমূলক কাজ করলে তাদের ডিগ্রির স্বীকৃতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বীকৃতি পুনরায় বিবেচনা করে দেখা হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর মহিবুল হাসান চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।
কওমি মাদরাসার ছাত্রদের উদ্দেশে উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, ‘এতিমখানার ছাত্র, কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে ইসলামের নাম ব্যবহার করে হেফাজতে ইসলাম নামে একটি গোষ্ঠী দেশে অরাজকতা করছে। দ্বীন ইসলামের প্রতি এ দেশের মানুষের ভক্তি আছে। কওমি মাদরাসার ছাত্র, আমরা সবাই ধর্মপরায়ণ, ধর্মভীরু। সেই ধর্মপরায়ণতাকে পুঁজি করে একটি গোষ্ঠী কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করছে। আপনারা বুঝুন যে আপনারা শুধু ব্যবহৃত হচ্ছেন। আপনাদের উসকানি দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনাদের দাঙ্গা-হাঙ্গামায় ব্যবহার করা হচ্ছে। অনুরোধ, আপনারা তাদের বিষয়ে সতর্ক হোন এবং এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকুন।”
অরাজকতা অব্যাহত রাখলে কওমি মাদরাসার উচ্চতর ডিগ্রির সনদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, “আমরা কওমি শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে জাতীয়ভাবে সম্মান দিয়ে ইসলামিক স্টাডিজের মাস্টার্সের সমমর্যাদা দিয়েছি। তারপরও যদি কেউ অপরাধমূলক কাজ অব্যাহত রাখে তাহলে আমাদের সেই ডিগ্রির স্বীকৃতি বিবেচনা করে দেখতে হবে।”