রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে নও-মুসলিম ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটায় ময়মনসিংহ নগরীর সানকিপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
সম্প্রতি তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে খেলাফত কায়েম হলে সব সাংবাদিককে জবাই করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সহিংস হতে কর্মী-সমর্থকদের উত্তেজিত করে বক্তব্যও দিয়েছেন।
বিষয়টি নজরে আসলে জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। সানকিপাড়ার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় ইস্যুকে পুঁজি করে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন, যা সাধারণ মানুষকে ভিন্ন পথে ধাবিত করার অপপ্রয়াস। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
সানকিপাড়ার ফজলুল হক মারকাযুল উলুম মাদ্রাসায় বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের শিক্ষকতা করেন নোমানী। পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় মাহফিলে ওয়াজ করেন। তার বাড়ি নেত্রকোণার জেলার পূর্বধলায়। ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। ২০১২ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন নোমানী।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে নোমানী বলেন, ‘যদি আল্লাহ তৌফিক দেয় আর যদি ইনশাল্লাহ খেলাফত কায়েম করতে পারি, আল্লাহর কসম, সংবাদ দেখার টাইম পাবি না। একটা একটা ধরব আর জবাই করব, ইনশাল্লাহ। অমুসলমান, এখন থেকে আমরাও তইয়ার (তৈরি)। আমাদের ঘাড় ভাঙবি, আমরাও ঘাড় ভাঙব। কারা কারা তইয়ার?’
তিনি আরও বলেন, ‘যতদিন বাঁচব, বাঘের মতো বাঁচব। আর যদি মরতে হয় ইনশাল্লাহ দুই-চার-দশটাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে এরপর মরব। সবাই রাজি আছি তো ইনশাআল্লাহ। তবে রক্ত দিতে হবে। আমার বয়ানই আজকে রক্ত নিয়ে। ও মুসলমান রক্ত দিতে রাজি আছেন? সবাই। বুঝেন, চিন্তা করে বলেন। ভয় পাচ্ছেন না তো, নাকি? রক্ত দেবেন ইনশাল্লাহ? রক্ত দিয়েছে কে? তাহলে মুসলমান, আজকে থেকে ডায়লগ চেঞ্জ।’