Site icon The Daily Moon | Popular Bangla News | National | International | Education | Entertainment | Religion | Employment

এ লজ্জা শেখ হাসিনার: আল্লামা মামুনুল

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে বায়তুল মোকাররম সংলগ্ন পুরো এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এতে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন।

চট্টগ্রামে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে অন্তত চার জন ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেবার পর তারা মারা গেছেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন নিহতের হওয়ার কথা পুলিশের পক্ষ জানানো হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তির দিন এমন ঘটনার দায় বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন হেফাজতে নেতা আল্লামা মামুনুল হক।

সংঘর্ষের ঘটনার পর শুক্রবার (২৬ মার্চ) এক ফেসবুক স্ট্যাটাস আল্লামা মানুল হক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি দেশপ্রেমী তাওহিদী জনতার রক্তে লাল- এ লজ্জা শেখ হাসিনার।’’

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামী রবিবার (২৮ মার্চ) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এছাড়া আগামীকাল শনিবার (২৭ মার্চ) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করবে সংগঠনটি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহত ১ জন

নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এদিন একদল মাদ্রাসার ছাত্র বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে তাদের সাথে আরেকটি মাদ্রাসার ছাত্ররা যোগ দেয়। এসময় হাটহাজারীতে সহিংসতায় মৃত্যুর খবর পৌঁছলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একুশে আলোর সম্পাদক সেলিম পারভেজ বিবিসি বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করে এবং শহরে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর চালায়। তারা বেশ কিছু গাড়িতেও অগ্নি সংযোগ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের দমাতে পুলিশ গুলি করে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হয়।

চট্টগ্রামে অন্তত ৪ জন নিহত

এর আগে মোদীর সফরের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় শুক্রবারের নামাজের পর বিক্ষোভ হয়। ওই এলাকায় কয়েক ঘন্টা ধরে পুলিশ-বিক্ষোভকারী ব্যাপক সংঘর্ষ চলে – যাতে সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ঢাকার ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হলে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আহতদের মধ্যে অন্তত চারজন পরে হাসপাতালে মারা গেছেন। হেফাজতে ইসলামের একজন নেতা মুজিবর রহমান হামিদীও তাদের কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হবার কথা নিশ্চিত করেন।

Exit mobile version