দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সরকারি চাকরিতে আবেদনের ফি ১০০ টাকায় নামিয়ে আনতে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। আজ রবিবার গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
নুরুল হক নুর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সরকার ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। সকল ক্ষেত্রে দলীয়করণ করেছে নিজেদের একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে কায়েম রাখার জন্য। ভেরিফিকেশনের নামে চাকরিপ্রার্থীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেকক্ষেত্রে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের রেফারেন্স ছাড়া চাকরি হয় না। এগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা কথা বলেছি। এ বিষয় ছাড়াও চাকরি আবেদনের ফি ১০০ টাকায় নামিয়ে আনা এবং বিভাগীয় শহরগুলোতে চাকরি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থানান্তর নিয়েও আমরা কথা বলেছি। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা এগুলো নিয়ে আবারও কথা বলবো, মাঠে নামব।
২০১৮ সালের শুরুর দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল আলোচনার তুঙ্গে। পরবর্তীতে ৮ এপ্রিল রাতে তা চরম পর্যায়ে ধারণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ। ফলে পরের দিন আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদে চাকরিতে সব ধরলের কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ঘোষণার তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল সোমবার (১২ এপ্রিল)।
নুর বলেন, দেশে যেহেতু একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা চলমান রয়েছে, গণমানুষের সম্পৃক্ততায় কোনো গণআন্দোলন তৈরি হলেই সরকার ভয় পেয়ে সেখানে দমন-পীড়ন চালায়। আমাদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নাই।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি-রাবার বুলেট-গ্যাস ছুঁড়ে তাদের রক্তাক্ত করা হয়েছিলো। শুরুর দিকে আন্দোলনে ছাত্রলীগের সমর্থন থাকলেও সরকারের বিরোধিতার কারণে তারা সেখান থেকে সরে আসে। যারা এ আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো ছাত্রলীগ তাদের হল থেকে বের করে দেয়।