জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কোনো নিয়মিত উপাচার্য নেই। বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশিদ গত বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস কাটিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সেখানে কাউকে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কে হবেন পরবর্তী উপাচার্য, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তবে ভিসি পদে অনেকের নাম আলোচনায় এসেছে। তবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান কাজ চালিয়ে নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তী উপাচার্য হতে আগ্রহীদের একজন তিনি।
মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি সূত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েকজনের নাম আলোচিত হচ্ছে। তাদের মধ্যে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া।
এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম অহিদুজ্জামানের নামও শোনা যাচ্ছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষের শূন্যপদ পূরণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শতাংশ সিনিয়র অধ্যাপককে নিয়ে গত বছর একটি পুল গঠন করা হয়েছে। তবে আমি মনে করি, কেবল সিনিয়রিটির ভিত্তিতে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া ঠিক নয়। এই পদে দায়িত্ব পালন করতে হলের প্রভোস্ট, ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান ইত্যাদি পদে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
তিনি বলেন, তা ছাড়া চিন্তা-চেতনার দিকটিও দেখা হয়। কেননা ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের জনবল চালাতে হয়। তাই ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ক্যাপাবিলিটি’, অতীত রেকর্ড, অভিজ্ঞতা এবং একাডেমিক এক্সিলেন্স বিশেষ করে সততার দিকটি দেখা জরুরি। নইলে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর পরিবর্তে তারাই দুর্নাম কামাই করবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়েও অচলাবস্থা তৈরির শঙ্কা থাকে।