জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণরূপে সেশনজট মুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-উপ উপাচার্য মহোদয়ের চেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সবার সঙ্গে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাগুলো স্থগিত থাকলে তাদের জন্য এটি একটি অবর্ণনীয় কষ্টের কারণ হয়ে যাবে। সে কারণেই তাদের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুনর্ণবিবেচনা করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের রুটিন প্রকাশ হওয়া পরীক্ষাগুলো চলমান থাকবে। মানবিক কারণেই এটি করা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্বদ্যিালয়ের পরীক্ষা সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অন্যদিকে সারাদেশেই আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আছেন। আমাদের মাননীয় উপাচার্য-উপ উপাচার্য মহোদয়রা তাদের জন্য সম্পূর্ণরূপে সেশনজট মুক্ত করেছেন। সে কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, তারা যেন কোন ধরনের আন্দোলনে না যায়। শিক্ষার্থীরা ৩ মাস পরে পরীক্ষাগুলো দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে এক ধরনের অস্থিরতা ছিল। এ কয়দিন পরীক্ষা পেছানোর কারণে কোন শিক্ষার্থীর যদি বয়সেও সমস্যা দেখা দেয় সে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা সরকার করবে। এ সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। কাজেই এ তিন মাস যদি পরীক্ষা না হয় সেক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীরা এটি মেনে নেবেন।
ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশংকা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় দেশ যখন একটি বিরাট সাফল্য অর্জন করতে চলেছে সে জায়গায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরিয়ে আনলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। তাই সংক্রমণটি আবার যেন ছড়িয়ে না যায় সে বিষয়ে আমাদের সচেতন ছাত্র সমাজ সরকারের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।
শিক্ষার্থীদের সচেতন করে মন্ত্রী বলেন, আমরা দেখছি একটি চিহ্নিত মহল তারা দেশকে অস্থিশিল এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলবার জন্যে বারবারই অপচেষ্টা চালচ্ছেন। কখনো ভাস্কর্যের নামে আন্দোলন করছেন, কখনো বিদেশি সংবাদমাধ্যমের মিথ্যা প্রচারণা নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। সেসব ইস্যুতে তারা ব্যর্থ হয়ে ছাত্র সমাজকে বিভ্রান্ত করবার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ এ বিষয়ে সচেতন থাকবেন।