মঈন আলীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় বাংলাদেশের বিতর্কিত নির্বাসিতা লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে ক্রিকেট দুনিয়া। মুসলিম ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় মঈন, তার ধর্মীয় ভাবধারার কারণে, সম্প্রতি মঈনকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য টুইট করেন তসলিমা। তার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছিল ইংলিশ ক্রিকেটাররা, উধাও হয়ে যায় তসলিমার টুইট।
পরবর্তী টুইটে তসলিমা বলেন, টুইটারে মৌলবাদিরা পঙ্গপালের মত আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
টুইটারে হাজার হাজার এবিউজ বিরোধী সেনা আমাকে এবিউজ করছে, আমার দোষ কেন আমি মইন আলীকে ‘এবিউজ’ করেছি। এর মানে মইন আলীকে এবিউজ করা ঠিক নয়, আমাকে এবিউজ করা ঠিক। অপমান অসম্মান অত্যাচার জীবনে কম দেখিনি। যত দিন বাঁচি ততদিন দেখতে হবে জানি।
ঝাঁকে ঝাঁকে মুসলিম মৌলবাদি, ফেক বাম, আমাকে না-পড়া লোক, আমার কিছুই না জানা লোক, পঙ্গপালের মতো আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে, লক্ষ শকুন যেন জীবন্ত আমাকে খুবলে খাচ্ছে। পকেটমার সন্দেহে গরিব নিরীহ ছেলেকে উন্মত্ত জনতা যেমন পিটিয়ে মেরে ফেলে, সেরকম মনে হচ্ছিল আমার, যেন আমি সেই গরিব নিরীহ ছেলেটি।
দোষটা কী ছিল আমার? একটি জোক। আযান পড়লে যে মানুষ মাঠেই নিজের জায়নামাজ পেতে নামাজ পড়েন, খেলা চলতে থাকলে নাকি আম্পায়ারকে বলে চলেও যান নামাজ পড়তে, বিজয়ের শ্যাম্পেন খুললে দ্রুত সরে যান দূরে, বিয়ার কোম্পানীর লোগো থাকলে সেই জার্সি পরবেন না বলে জানিয়ে দেন, পয়গম্বরের আদেশ মাফিক গোঁফ ট্রিম করতে থাকেন, দাড়ি বড় করতে থাকেন তাঁকে নিয়ে যদি কৌতুক করিই, তাহলে কি টুইটারের একাউন্ট উড়ে যাবে? হ্যাঁ এমনই থ্রেট এসেছে।
আমাকে যারা গতকাল থেকে এবিউজ করছে, তারা তো অনেকেই শার্লি আব্দোকে সমর্থন করে। শার্লি আব্দো তো মস্করা করে বিখ্যাত লোকদের নিয়ে, তাহলে সেটা সমর্থন করে কিভাবে? নাকি ওরা ফরাসি বলে ওদের সমর্থন করা চলে!