মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে দেশের সর্ব বৃহৎ করোনা হাসপাতাল উদ্বোধন করা হয়েছে আজ। রোববার (১৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এটির উদ্বোধন করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাইকারি কাঁচাবাজারের ভবনে স্থাপন করা হয়েছে হাসপাতালটি। হাসপাতালটি এক হাজার বেডের। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’।
হাসপাতালটির পরিচালক করা হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনকে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মাসের শেষ নাগাদ এর কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে।’
হাসপাতালটিতে যা যা রয়েছে
হাসপাতালটিতে ২১২ শয্যার আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রয়েছে। তাছাড়া ৫০ বেডের জরুরি বিভাগ (৩০টি পুরুষ, ২০ নারী), ২৫০ শয্যার এইচডিইউ (উচ্চ নির্ভরতা ইউনিট), ৫৪০ (সিঙ্গেল) রুমের আইসোলেশন ব্যবস্থা এতে রয়েছে।
এর বেড হবে কেবিনের মতো।
পরিচালক আরও বলেন, উদ্বোধনের পর দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হবে। কাজ সম্পূর্ণ হলে বুজা যাবে যে কত বড় মানের একটা কিছু হলো। আমাদের কিছু জনবলও প্রয়োজন।
রোগীরা যেভাবে সেবা নেবে
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছেন বা উপসর্গ আছে- এমন রোগীরা এখানে নিতে পারবে। এখানে দুটি ট্রায়াজ আছে । যাদের মৃদু উপসর্গ আছে তাদের যদি ভর্তি প্রয়োজন না হয় তাদেরকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হবে। পরে এসে এসে তার অবস্থা জানাতে পারবে।
ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা
যারা করোনা সংক্রমিত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আসবে তারা ট্রায়াজ-২ এ চলে যাবে। সেখানে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা থাকবে। ছয় বেডের একটি আইসিইউ সেটআপ থাকবে নিচ তলাতেই। সেখানে ভেন্টিলেটরের সুযোগও রয়েছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে পাঠিয়ে দেওয়া হবে দ্বিতীয় তলার ওয়ার্ডে। সেখানে যদি কারও অবস্থা খারাপ হয় তবে তাকে আমরা পাঠিয়ে দেবো আইসিইউ বা এইচডিইউতে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, সরঞ্জামের ব্যবস্থা করবেন মন্ত্রণালয়।