জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ জুন) বিকেল ৩টার দিকে উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময় মামলার ২ নম্বর আসামি অমিসহ আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান বিভাগ এই ৫ জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, নাসির এ মামলার প্রধান আসামি। আমরা নাসিরসহ আরও চার জনকে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাসাটি থেকে কয়েক বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
নাসির ইউ মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের সদস্য। তিনি ৩৭ বছর ধরে ডেভেলপার ব্যবসায় যুক্ত আছেন। ১০ বছর ধরে মাহমুদ কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। কুঞ্জ ডেভেলপার্সের আগে তিনি মাহমুদ বিল্ডার্স অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের এমডি ছিলেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেন। তিনি ও তার প্রতিষ্ঠান সরকারের গণপূর্ত অধিদফতর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি), শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি), রাজউক, রেলওয়েসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি কাজ করেন।
নাসির ইউ মাহমুদ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সাবেক নির্বাহী পরিষদের সদস্য। তিনি ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালের উত্তরা ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি এবং লায়ন ক্লাবের ঢাকা জোনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
এছাড়াও তিনি জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাপার ৯ম কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়।