Site icon The Daily Moon | Popular Bangla News | National | International | Education | Entertainment | Religion | Employment

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো মুনিয়া, অভ্যাস ছিল তাহাজ্জুদেরও

বড় বোন নুসরাত জাহান ও মোসারাত জাহান মুনিয়া

বড় বোন নুসরাত জাহান ও মোসারাত জাহান মুনিয়া

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনা নানা রহস্যের জন্ম দিয়েছে। গুলশানের লাখ টাকা ভাড়ার বাসায় ওই কলেজছাত্রী একাই থাকতেন। ঘটনার পর তার পরিবারের দায়ের করা মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে।

মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। ঘটনার পর আনভীরের সঙ্গে মুনিয়ার অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ওই তরুণীর সঙ্গে আনভীরের কি সম্পর্ক ছিল। মুনিয়া আত্মহত্যা করে থাকলে কেন করেছেন।

তবে ঘটনার পর ফেস দ্যা পিপল নামে একটি ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান দাবি করেছেন, এটি আত্মহত্যা নয়, তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।

নুসরাত জাহান বলেন, আমরা তার রুমে প্রবেশ করে সবকিছুর কন্ডিশন দেখে মনে হয়েছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমার বোন পাঁচ ওয়াক্ত নামজ পড়তো। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ারও অভ্যাস ছিল তার। ওর বয়সে আমিও এরকম নিয়মিত নামাজ পড়িনি।

পড়ুন: গুলশানে তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর, যা জানা যাচ্ছে

বড় বোন নুসরাতের প্রশ্ন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া একটা মেয়ে কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে? যদিও করেও থাকে তাহলে তাকে অপমানজনক এমন কিছুর মাধ্যমে প্ররোচিত করা হয়েছে যেটা তার আত্ম সম্মানে লেগেছে এবং সে এ কষ্ট নিতে পারেনি। পরে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। যদি এটা আত্মহত্যা হয়ে থাকে।

ঘটনার একদিন আগে মুনিয়ার বোন জামাই তাকে মুঠোফোনে কিছু টাকা পাঠিয়েছিলেন। এটাই ছিল বোন জামাইয়ের সঙ্গে তার সর্বশেষ যোগাযোগ। ওই আত্মীয় জানান, মুনিয়ার বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে পাত্র দেখছিলেন তারা। কিন্তু আনভীরের জন্য মুনিয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেয়। ওই আত্মীয়ের দাবি, মুনিয়া ছিলেন খুব ধর্মপরায়ণ। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন তার বিশ্বাস হচ্ছে না।

মুনিয়ার বোন নুসরাত জানান, আমরা তার রুমে গিয়ে তার পা খাটের মধ্যে দেখতে পেয়েছি। একটা মানুষ যদি ঝুলে গিয়ে ছটফট করে তার নিচে যে সিট সাজানো ছিল ওই সিটটা পড়ে যাওয়ার কথা। আমি তার পুরো রুম দেখেছি, এসময় আমার সঙ্গে পুলিশও ছিল। সেখানে সবকিছু পরিপাটি ছিল। পুলিশও শতভাগ নিশ্চিত করে তখন বলতে পারেনি এটা আত্মহত্যা ছিল কিনা। তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

Exit mobile version