করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সবচেয়ে বেশি ভয় থাকে ফুসফুস নিয়ে। ভাইরাসটির কারণে ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই ভাইরাস গলা থেকে শ্বাসনালির মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে। এরপর এটি ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ও এর কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। যে কারণে দেখা দেয় কাশি, শ্বাসকষ্ট ও অবসাদ। তাই যথাযথ ভাবে ফুসফুসের যত্ন নিতে হবে। সেজন্য করতে পারেন কিছু ব্যায়াম।
যোগব্যায়াম
আমাদের শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়াতে কাজ করে এই ব্যায়াম। এই ব্যায়াম করার জন্য প্রথমে দুই হাত সোজা করে পদ্মাসনে বসুন। মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। এরপর নাক দিয়ে শ্বাস টেনে নিন এবং মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। আঙুল দিয়ে নাকের ডানপাশ চেপে ধরে বাঁ পাশ দিয়ে নিঃশ্বাস নিন। এরপর ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এভাবে নিয়মিত ব্যায়াম করলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়বে।
ব্রিদিং এক্সারসাইজ
এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের এক ধরনের ব্যায়াম। নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে ফুসফুসে বাতাস ধারনের ক্ষমতা বাড়ে। এক্ষেত্রে পার্সড লিপস ব্রিদিং, ডায়াফ্রাগম্যাটিক ব্রিদিং, প্রাণায়াম ইত্যাদি বেশি কার্যকরী ও পরিচিত। এ ধরনের ব্যায়াম করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ব্যায়াম করলে ফুসফুস স্বাস্থ্যবান হবে ও বাতাস ধারণ ক্ষমতা বাড়বে।
কার্ডিও এক্সারসাইজ
ফুসফুসের সুস্থতার জন্য এই ব্যায়াম কার্যকরী। এই ব্যায়ামের জন্য প্রতিদিন কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন। এ জাতীয় ব্যায়াম করার সময় ফুসফুসের ব্যায়ামও করা হয়ে যায়। ফলে এর বাতাস ধারণের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। এ জাতীয় ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, দৌড়ানো ইত্যাদি।
শুয়ে ব্যায়াম
এই ব্যায়াম করতে হবে শুয়ে থেকে। বুকের নিচে বালিশ রেখে উপুর হয়ে শুয়ে জোরে নিঃশ্বাস নিন। কয়েক সেকেন্ড ধরে রেখে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এভাবে বারবার করতে হবে। এই ব্যায়াম ফুসফুস ভালো রাখার জন্য বেশ উপকারী। এটি ফুসফুস থেকে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করবে।
ফুসফুস ভালো রাখতে আরও কিছু করণীয়:
- ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতে হবে। কারণ এই দুই অভ্যাস আপনার ফুসফুসের ক্ষতি করার জন্য যথেষ্ট।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে এমন খাবার পুরোপুরি বাদ দিতে হবে।
- সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস আপনার ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
- নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। সকালের বাতাসে অক্সিজেন বেশি পাওয়া যায়। এসময় হাঁটতে বের হোন। যা ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়বে।