পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সাথে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুরে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৫ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- নন্দনপুরের হারিয়া গ্রামের আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে জুরু আলম (৩৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের সুজন মিয়া (২২), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দাবিড় মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (২৪), বুধল গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়া (২৫) ও জুবায়ের (১৪)। জুবায়েরের ঠিকানা জানা যায়নি।
আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাছির মিয়া, নুরুল আমিন ও ছাদেক মিয়া নামে চারজনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে নন্দপুর বাজার এলাকায় পুলিশ ও বিজির সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। কয়েকজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পর্যায়ক্রমে ৫ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আবাসিক চিকিৎসক রানা নুরুস শামস সাংবাদিকদের জানান, এখন পর্যন্ত আহত হয়ে আসা ৫জন মারা গেছেন।