“বর্তমানে প্রত্যেকেই মোবাইল ব্যবহার করে। মোবাইলে একটি অ্যালার্ম ঘড়িও থাকে। তাই সবার উচিত অ্যালার্মে সেহরির সময় নির্ধারণ করা এবং লাউডস্পিকারের ব্যবহার এড়িয়ে চলা। যা অন্য মানুষকে ভোরের সময়ে বিরক্ত করে। লাউডস্পিকারের মাধ্যমে বক্তৃতা দেওয়া ধর্ম দ্বারা বাধ্যতামূলক নয়”, বলে মন্তব্য করেন মাওলানা ফিরাঙ্গিমাহলি।
ইসলামিক সেন্টার অফ ইন্ডিয়া’র প্রধান এবং প্রবীণ আলেম মাওলানা খালিদ রশীদ ফিরাঙ্গিমাহলি রমজানের সময় সেহরির জন্য মুসল্লিদের ডাকতে লাউডস্পিকার ব্যবহার না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এই আবেদনটি ইসলামিক সেন্টার অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত ১৫ দফা পরামর্শের অন্যতম।
১৪িএপ্রিল শুরু হতে যাচ্ছে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান। রমজানে অনেক মসজিদেই লাউড স্পিকারে সেহরির সময় শুরুতে ও শেষে মাইকিং করা হয়।
শব্দদূষণ রোধকর্মী সুমাইরা আবদুলালী এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমি এই পরামর্শদাতাকে স্বাগত জানাই এবং মাওলানা সাহেবকে এই অতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপটি গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আজানের জন্য লাউডস্পিকারের ব্যবহার একটি পুরানো রীতি। বিশ্ব এগিয়ে গেছে। নামাজ ও সেহরি সময় সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করতে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা উচিত।”
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য এম আসিফ ফারুকীও সেহরি ঘোষণার জন্য লাউডস্পিকার না ব্যবহারের পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এখন আর সেহরির জন্য লাউড স্পিকারে ঘোষণার দরকার নেই। যারা রোজা রাখেন তারা ইফতার ও সেহরির সময়সূচী জানেন এবং এটি তাদের অ্যালার্ম ঘড়িতে সেট করে নিতে পারেন। আমাদের উচিত শব্দদূষণ কমানোর চেষ্টা করা, শব্দ দূষণে যুক্ত না হওয়া।”
“একসাথে ১০০ জনের বেশি মানুষ নামাজ পড়বেন না,” তিনি আরও বলেন।
তারাবির নামাজের বিষয়ে ফিরাঙ্গিমাহলি বলেন, তারাবির নামাজ সংক্ষিপ্ত রাখা উচিত, যাতে রাতের বেলা কারফিউ শুরু হওয়ার আগেই সবাই বাড়িতে ফিরে আসতে পারেন।