হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাযী, ইসলামী অঙ্গণে মেধা ও সাহসের সমন্বিত সম্ভানাময় নেতৃত্বের নাম।
গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব সাখাওয়াত হোসাইন রাজি গ্রেপ্তার হন। আজ ( ১৮ এপ্রিল) মামুনুল হক তার ফেজবুক ভেরিফাইড পেজ থেকে সাখাওয়াত হোসাইন রাযী
সম্পর্কে একটি পোস্ট করেন। এখানে তিনি সাখাওয়াত হোসাইন রাযী এর জীবন ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি তুলে ধরা হলো।
‘মঞ্চ ও টেবিলে সমান দক্ষতার পরিচয় রেখে চলেছেন তিনি । হালের জনপ্রিয় ও প্রভাবক টকশোগুলোতে তার সাবলীল ও বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থাপনা প্রতিপক্ষকে লা-জবাব করে ছাড়ছে । জ্ঞান ও শিক্ষার সাধনায় তিনি নিজেকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন । সেই সাথে প্র্যাক্টিকাল রাজনীতির শিক্ষাটাও রপ্ত করেছেন যথেষ্ঠ যত্ন নিয়ে । রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ইতিমধ্যেই নিজেকে থিতু করে নিয়েছেন । মেধা দক্ষতা আর প্রজ্ঞার পাশাপাশি বুকে আছে তার সাহসের অমিত তেজ । শুধু টেবিল আর অন্দরমহলই নয়, মঞ্চেও শোনা যায় তার সাহসী উচ্চারণ । রাজপথকেও প্রকম্পিত করে তার দৃপ্ত কদমের পদভার ।
আমরা দীর্ঘ একটা পথ পাড়ি দিয়েছি হাতে হাত রেখে । তার “ রাহমাতুল্লিল আলামীন” ফাউণ্ডেশনের কনফারেন্স যেদিন পন্ড করে দেয়া হয়, প্রতিবাদে তিনি নেমে আসেন রাজপথে । ছুটে গিয়েছিলাম আমি তার পাশে দাঁড়াতে । আমার ওপর যখন হামলে পড়ল মিথ্যাশ্রয়ী মিডিয়াদল, তিনি রুখে দাড়ালেন বুক টান করে । সত্যকে তুলে ধরলেন যুক্তির ভাষায়।
আমার প্রিয় এই বন্ধু এখন বন্দি জালিমের জিন্দানখানায় । বন্দি আরো অনেকেই । আমার সামনেও ঝুলছে গ্রেপ্তারের খড়গ ।
আমাদের মঞ্জিল বহু দূর । আমরা সাহস হারাই না । আমরা জানি, সত্যের এ পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয় । কাঁটায় ভরা এ পথ চলতে বুকে হিম্মত নিয়েই মাঠে নেমেছি । ওদের কুৎসিত কদর্যতার মোকাবিলায় আমরা ফোটাই সত্য-সুন্দরের সুবাসিত ফুল । কারাবরণ তো সংগ্রামের পথে সাফল্যের মাইলফলক । আমার কপালেও যদি জুটে যায় সে ভাগ্য, নিজেকে সৌভাগ্যবানই মনে করব । অপবাদের পর কারাভোগ নবী ইউসুফ আলাইহিসসালামের পূর্ণাঙ্গ সুন্নত । আমরা তো জেল-জুলুমই নয়, শাহাদাতের তামান্না নিয়ে সংগ্রামের পথ মাড়াই । জিন্দান খানার পথে সংগ্রামীদের সহাস্য বদন আমাদেরকে উজ্জীবিত করে, অনুপ্রেরণা যোগায় ত্যগ আর কুরবানীর ।
জীবনের চেয়ে দৃপ্ত মৃত্যু তখনি জানি
শহীদের খুনে হেসে উঠে যবে জিন্দেগানী’