বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, সেগুলো ফাঁকা রেখে শিক্ষার্থীদের মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। আমরাও চাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্যপদ দ্রুত পূরণ হোক। শূন্যপদ পূরণে দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চাই।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের স্কুল-কলেজ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এই পদগুলো শূন্য রেখে করোনা পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করা কষ্টকর হবে। তবে আদালতের বাইরে আসলে আমাদের করার কিছু নেই।
গণবিজ্ঞপ্তি দ্রুত প্রকাশ হোক সেটি আমরাও চাই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরাও চাই গণবিজ্ঞপ্তি দ্রুত প্রকাশ করা হোক। তবে বিষয়টি আদালতের হাতে রয়েছে। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছি। তারা এই বিষয়ে কোনো একটি সুরাহা না দেয়া পর্যন্ত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি যেন দ্রুত বিষয়টির সমাধান করা যায়।
প্রসঙ্গত, সারাদেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। তবে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারছে না এনটিআরসিএ।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এনটিআরসির নিয়োগসহ নানা বিষয়ে আদালতে অসংখ্য মামলা আছে। এ কারণে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাস্তবায়ন করতে বিলম্ব হয়ে যাচ্ছে। আমরা সব সমস্যাগুলো পেরিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কীভাবে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেব