বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছিল চাদের সামরিক বাহিনীর। সংঘর্ষ পরিদর্শনে গিয়ে নিহত হলেন মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের প্রেসিডেন্ট ইদরিস দেবী। মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করে। ১৯৯০ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন দেবী।
সেনাবাহিনী জানায়, চাদে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরপরই সীমান্ত এলাকায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি নিহত হন। ওই নির্বাচনে তিনি ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে ষষ্ঠবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে জয় পাচ্ছেন বলে ধারাণা করা হচ্ছে।
এদিকে, প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পর দেশটির সরকার এবং সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর একটি পরিষদ আগামী ১৮ মাসের জন্য দেশের শাসনকাজ পরিচালনা করবে বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ঘোষণা দিয়েছেন।
ইদ্রিস ডেবি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন। আফ্রিকার দীর্ঘসময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতাদের একজন ছিলেন তিনি।
১১ এপ্রিল দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণার এক দিন পর তার মৃত্যুর খবরটি জানানো হলো। নির্বাচনে ইদ্রিস ডেবি ৭৯ শতাংশ ভোট পান। বেঁচে থাকলে ষষ্ঠবারের মতো চাদের প্রেসিডেন্ট হতেন তিনি। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
এর আগে গতকাল সোমবার বিদ্রোহীরা চাদের রাজধানী এনজামিনা অভিমুখে কয়েকশ কিলোমিটার এগিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মিলে তাদের মোকাবিলায় মাঠে নামেন ইদ্রিস ডেবি। এ সময় গুরুতর আহত হলে রাজধানীতে আনার পথে তার মৃত্যু হয়।
ইদ্রিস ডেবির নিহত হওয়ার পর দেশটির সরকার ও সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা কারফিউ জারি এবং সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ১৮ মাস দেশটির সরকার পরিচালনা করবে ইদ্রিস ডেবির ছেলে কাকার (৩৭) নেতৃত্বে মিলিটারি কাউন্সিল।