চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের চার নেতাকর্মী নিহতের প্রতিবাদে আগামী রবিবার (২৮ মার্চ) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এছাড়া শনিবার (২৭ মার্চ) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালিত হবে। সংগঠনটির এ কর্মসূচি ঘোষণার পর শুক্রবার রাতেই তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাউকে কোনো ধরনের হরতাল করতে দেওয়া হবে না। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের বিষয় খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে এদিন শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত আটটায় পুরনো পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে আগামীকাল শনিবার (২৭ মার্চ) বিক্ষোভ ও রোববার (২৮ মার্চ) হরতালের ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতা-কর্মী ও প্রতিবাদী মুসল্লিদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে মূলত এই বিক্ষোভ ও হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়। আবদুর রব ইউসুফী বলেন, হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে আমি এ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
তিনি বলেন, ঢাকার বায়তুল মোকাররম, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী মুসল্লিদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডার বাহিনী হামলা করে পাঁচজনকে শহীদ করেছে। অসংখ্য মুসল্লিকে আহত করেছে ও গ্রেপ্তার করেছে। এর প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবারের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ আহবান করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও হামলার ঘটনা উল্লেখ করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এদিন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।