আবাসিক হল-ক্যাম্পাস খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকাল ১১টায় নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়ে এ দাবি জানান তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বন্ধের ১৪ মাস অতিক্রান্ত হলেও শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা কলেজ প্রশাসন থেকে কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। বরং কোনো পরিকল্পনা ছাড়া একের পর এক তারিখ ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রকার দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
অনলাইন ক্লাস চালু রাখা হয়েছে যেখানে আর্থিক সংকট ও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি। যার ফলে অনেক শিক্ষার্থীই শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়েছে। অথচ যেখানে অফিস-আদালত খোলা রাখা হয়েছে সেখানে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখাটা অযৌক্তিক।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী হাবিব বলেন, হল না খুলে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অমানবিক। কেননা অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী হলে থেকে সামান্য টিউশনি অথবা ছোটখাটো পার্টটাইম চাকরির করে নিজের পড়াশুনার খরচ নিজে বহন করে। এমন অবস্থায় করোনাকালীন সময়ে এমনিতেই সবার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। তার মাঝেও যদি হলে থাকা বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় থেকে পরীক্ষা দিতে হয় তবে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তাই অবিলম্বে ক্যাম্পাস খুলে দিতে হবে।
আন্দোলনরত ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী শারমিন জাহান বলেন, সাত কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এরা হলে থেকে কোন রকমের পড়াশোনা চালিয়ে নেয়। গতবারের পরীক্ষায়ও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের হলে অথবা বাইরে থাকতে হয়েছে এতে করে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে।
এর আগে, একই দাবিতে রবিবার (৩০ মে) রাজধানীর নীলক্ষেতে মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন অধিভুস্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বেশ কয়েকদিন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অব্যাহত রয়েছে।