রমজান সিয়াম-সাধনার মাস। এ মাস রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস। তাকওয়া অর্জনের সর্বোত্তম মাস হলো রমজান। এ মাসে ইবাদত পালনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা সম্ভব। রমজানের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জন। এ মাসে আমল করলে একটি কাজের জন্য ৭০ বা তার চেয়েও বেশি নেকি পাওয়া যায়। রমজানে কিছু বিশেষ ইবাদত পালনের মাধ্যমে অধিক পূণ্য লাভ করা সম্ভব।
- রমজানে সিয়াম পালন করা। । এ মাসের সবচেয়ে বড় ইবাদত হলো সিয়াম তথা রোজা। সিয়াম পালন না করলে ব্যক্তি কাফের হয়ে যায়।
- নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় করা। কেবল রমজানেই নয় সব সময় নামাজ আদায় করা আবশ্যক। একটি ফরজ বিধান।
- তাজবীদসহ কুরআন মাজিদ তেলাওয়াত করা। রমজানকে বলা হয় কুরআন নাযিলের মাস। তাই এ মাসের মর্যাদা অধিক। সারাবছর বিভিন্ন ব্যস্ততায় হয়তো নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করা সম্ভব হয় না কিন্তু রমজান মাসে ব্যস্ততা কম থাকায় বেশি বেশি তেলাওয়াত করা যায়।
- অন্যদের কুরআন পড়া শেখানো যেতে পারে। মহানবী (স) কুরআন শিক্ষা দান করাকে সর্বোত্তম ইবাদত বলে উল্লেখ করেছেন।
- অন্যকে ইফতার করানো। হাদিসে এসেছে, ‘যে অন্যকে ইফতার করাবে, ওই রোজাদারের সওয়াবের সমপরিমাণ সওয়াব সে লাভ করবে। তবে রোজাদারের সওয়াবে কোনো কমতি হবে না’।
- তারাবির সালাত আদায় করা। তারাবির সালাত রমজানের একটি অন্যতম সুন্নত ইবাদত।
- বেশি বেশি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। নিজ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা পার্থনা করা।
- দান সাদাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া। গরিব মিসকিনদের খাবার প্রদান করা।
- তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া। প্রয়োজনে সেহরিতে একটু তাড়াতাড়ি উঠা, দুই-চার রাকাত সালাত পড়ে নেওয়া যেতে পারে।
- মানুষের সাথে উত্তম আচরণ করার অভ্যাস গড়ে তোলা। চরিত্র গঠনের অনুশীলন করা। নৈতিকতার পরিচর্চা করা।
- বেশি বেশি আল্লাহর কাজে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
- জাকাত আদায় করা । কারণ এ মাসে প্রতিটি কাজে ৭০ বা তার অধিক পূর্ণ লাভ করা যায়।
- নিকট আত্মীয়দের খোঁজ খবর রাখা। আত্মীয়তার সম্পর্ক বৃদি্ধ করা।
- চোখ , কান , জবানের হেফাজত করা।