গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ ৬টি মানদণ্ড ক্রমানুসারে ব্যবহার করে প্রাথমিক আবেদনকারীদের মেধাক্রম প্রস্তুত করা হবে। প্রতিটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ দেড় লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে এক নির্দেশনায় বলা হয়। নির্দেশনাটি ভর্তির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
এতে বলা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ পাবে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণপূর্বক প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে উল্লিখিত যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার শাখা (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য) মোতাবেক একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা দুটি পর্যায়ে আবেদন করবে। প্রাথমিক আবেদনে উত্তীর্ণরা চূড়ান্ত আবেদনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকায় বলা হয়, বিজ্ঞান শাখায় মেধাক্রম প্রস্তুতে ৬টি মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ, এসএসসি ও এইচএসসির নম্বর, এইচএসসিতে পদার্থ বিজ্ঞানের জিপিএ ও নম্বর এবং এইচএসসিতে রসায়নের জিপিএ ও নম্বর।
বাণিজ্য ও মানবিক শাখায় মেধাক্রম প্রস্তুতে ৬টি মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ, এসএসসি ও এইচএসসির নম্বর, এইচএসসিতে বাংলার জিপিএ ও নম্বর এবং এইচএসসিতে ইংরেজির জিপিএ ও নম্বর।
আগামী ১ এপ্রিল থেকে গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি ওয়েবসাইটে গিয়ে ভর্তিচ্ছুরা আবেদন করতে পারবেন। এরপর প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল এবং চূড়ান্ত আবেদন শেষে আগামী ১৯, ২৬ জুন ও ৩ জুলাই গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।