১৫ মার্চ ২০১৯ দিনটি ছিলো শুক্রবার। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা আদায় করছিলেন জুম্মার নামাজ। আল নূর মসজিদে প্রার্থনারত মুসল্লিদের ওপর অঝোরে গুলিবর্ষণ করেন শেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠতবাদী অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। হামলা চলে লিনউড ইসলামিক সেন্টারেও। অকাতরে ঝরে যায় ৫১টি নিরীহ প্রাণ। সেদিন অল্পে বেঁচে যান দেশটিতে সফররত টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে ভয়াবহতম সে হামলার দুই বছর পূর্ণ হলো।
রক্তের স্রোতে লোহিত বর্ণ হয়ে যায় আল নুর মসজিদের জায়নামাজ। ভয়ঙ্কর, রোমহষর্ক, নারকীয় কিংবা ন্যাক্কারজনক; কোনো বিশেষণই যেনো যথেষ্ট নয়। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের বলি ৫ বাংলাদেশিসহ নিরীহ ৫১টি প্রাণ। মুসলিম বা অমুসলিমের নয়, প্রাণগুলো মানুষের।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্টন ট্যারেন্ট দু’হাতে সেমি অটোমেটিক রাইফেল আর শটগান নিয়ে চালায় বিকৃতমস্তিষ্কের এই নারকীয়তা। মসজিদের পর লিনউড ইসলামিক সেন্টারেও তার শিকার ৭ জন। এখানেই শেষ নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে ছিলেন পুরোটা সময়। তার গাড়িতে ছিলো অবিস্ফোরিত বোমাও। মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারতো, তা ভেবে গা শিউরে উঠবে যে কোনো সুস্থ মানুষের।
অস্থির এই বিশ্বে অনেক দেশেই এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটে। তবে সেগুলোর চেয়ে আলাদা করে ভীতি ছড়িয়েছিলও ৫৬ হাজার বর্গমাইলে। ১৬ কোটি মানুষকে এক সুতোয় বাঁধেন যে ক্রিকেটাররা, তারা যে অল্পে বেঁচে ফিরেছেন সেদিন। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যাওয়া তামিম-মুশফিকরা জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য বাসে করে যাচ্ছিলেন আল নূর মসজিদে। তবে দেরি করে পৌঁছে টাইগারদের টিম বাস। ক্রিকেটারদের সেই আতঙ্কিত মুখগুলো এখনও স্মৃতিপটে এখনও অমলিন।
ক্রিকেটাররা আবারও কিউইদের দেশে। মাঝে কেটে গেছে ২টা বছর। তবে এখনও কাটেনি শোক। গ্রেফতার হয়েছে খুনি। যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছেন আদালত। তবে সন্তানহারা বুকগুলোয় এখনও প্রতিধ্বনিত হয় মহাকালের হাহাকার। তাসমান সাগরের ঢেউগুলোও আছড়ে পড়ছে নিরন্তর। জেনো ধরিত্রীর পায়ে ধরে করছে অনুরোধ, ধর্ম-বর্ণের ভেদভুলে মানবপ্রেমই হোক শ্রেষ্ঠত্ববাদের একমাত্র মানদণ্ড।
রক্তের স্রোতে লোহিত বর্ণ হয়ে যায় আল নুর মসজিদের জায়নামাজ। ভয়ঙ্কর, রোমহষর্ক, নারকীয় কিংবা ন্যাক্কারজনক; কোনো বিশেষণই যেনো যথেষ্ট নয়। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের বলি ৫ বাংলাদেশিসহ নিরীহ ৫১টি প্রাণ। মুসলিম বা অমুসলিমের নয়, প্রাণগুলো মানুষের।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রেন্টন ট্যারেন্ট দু’হাতে সেমি অটোমেটিক রাইফেল আর শটগান নিয়ে চালায় বিকৃতমস্তিষ্কের এই নারকীয়তা। মসজিদের পর লিনউড ইসলামিক সেন্টারেও তার শিকার ৭ জন। এখানেই শেষ নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে ছিলেন পুরোটা সময়। তার গাড়িতে ছিলো অবিস্ফোরিত বোমাও। মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারতো, তা ভেবে গা শিউরে উঠবে যে কোনো সুস্থ মানুষের।
অস্থির এই বিশ্বে অনেক দেশেই এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটে। তবে সেগুলোর চেয়ে আলাদা করে ভীতি ছড়িয়েছিলও ৫৬ হাজার বর্গমাইলে। ১৬ কোটি মানুষকে এক সুতোয় বাঁধেন যে ক্রিকেটাররা, তারা যে অল্পে বেঁচে ফিরেছেন সেদিন। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে যাওয়া তামিম-মুশফিকরা জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য বাসে করে যাচ্ছিলেন আল নূর মসজিদে। তবে দেরি করে পৌঁছে টাইগারদের টিম বাস। ক্রিকেটারদের সেই আতঙ্কিত মুখগুলো এখনও স্মৃতিপটে এখনও অমলিন।
ক্রিকেটাররা আবারও কিউইদের দেশে। মাঝে কেটে গেছে ২টা বছর। তবে এখনও কাটেনি শোক। গ্রেফতার হয়েছে খুনি। যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছেন আদালত। তবে সন্তানহারা বুকগুলোয় এখনও প্রতিধ্বনিত হয় মহাকালের হাহাকার। তাসমান সাগরের ঢেউগুলোও আছড়ে পড়ছে নিরন্তর। জেনো ধরিত্রীর পায়ে ধরে করছে অনুরোধ, ধর্ম-বর্ণের ভেদভুলে মানবপ্রেমই হোক শ্রেষ্ঠত্ববাদের একমাত্র মানদণ্ড।