‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানী। সম্প্রতি ঢাকায় মোদিবিরোধী বিক্ষোভকালে তাকে আটক করা হয় । তখন ছেড়ে দেওয়া হলেও , গত ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে এক ওয়াজ মাহফিলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয় এবং তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুরু হয় তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা।
রফিকুল ইসলাম মাদানী নামে পরিচিত এই ইসলামি বক্তার কণ্ঠ, শারীরিক গঠন ও মুখাবয়বের কারণে তাকে কম বয়সি ছেলেদের মতো মনে হয়। কিন্তু আসলে তিনি শিশু নন।
তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় তার জন্ম। তার বর্তমান বয়স ২৭ বছর।
রফিকুল ইসলামের চার ভাই ও তিন বোন। রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনার একটি মাদ্রাসায থেকে কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন।
পরে সেখান থেকে ঢাকার বারিধারা এলাকায় অবস্থিত একটি মাদ্রাসা থেকে তিনি দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স সমমানের) সম্পন্ন করেন।
জানা যায়, ১৪-১৫ বছর বয়স থেকেই রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াজ করতেন। তখন থেকেই তিনি আঞ্চলিকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। গত কয়েক বছরের মধ্যে রফিকুল ইসলাম মাদানী জাতীয়ভাবে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
গাজীপুরের বাড়িয়ালীতে তার একটি মাদ্রাসা রয়েছে। বাড়িয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে অবস্থিত ওই মাদ্রাসার নাম মারকাজুন নুর আল ইসলামিয়া। হাফেজ রফিকুল ইসলাম মাদানী ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও পরিচালক।