রোজা আল্লাহ তাআলার একটি ফরজ ইবাদত। ইফতার রোজাদারের জন্য বড় আনন্দের মুহূর্ত। সারাদিনের রোজার ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে মনে প্রশান্তি নিয়ে আসে ইফতার। রোজার আনন্দ কেবল রোজাদার ব্যক্তিই অনুধাবন করতে পারেন। হাদিসে এসেছে,
রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দ- একটি ইফতারের সময় ও অপরটি হলো আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত।
খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা রাসুল (সা.) এর সুন্নাহ। খেজুর রাসূল (সা.) একটি প্রিয় খাদ্য। এটি শর্করা ও পুষ্টি উপাদানের উৎস হিসেবে কাজ করে।
সালমান ইবনে আমির (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে খেজুর দিয়ে যেন ইফতার করে, খেজুর না হলে পানি দিয়ে; নিশ্চয় পানি পবিত্র। (আহমাদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমি শরিফ; আলফিয়্যাতুল হাদিস : ৫৬২, পৃষ্ঠা: ১৩১-১৩২)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) (মাগরিবের) নামাজের আগে তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। যদি তাজা খেজুর পাওয়া না যেত, তবে শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। আর যদি শুকনা খেজুর পাওয়া না যেত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে ইফতার করতেন। (আহমাদ, হাদিস : ৩/১৬৪)
নির্দিষ্ট সময়ে ইফতার করার প্রতি মহানবী (সা.) বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যতদিন মানুষ অনতিবিলম্বে ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮২১; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৮৩৮)