ঈদুল ফিতরে গার্মেন্টস শ্রমিক নেতাদের ছুটি বাড়ানোর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
বলা হয়েছে, ঈদে সরকারি ছুটি তিন দিনের বেশি দেওয়ার এখতিয়ার নেই। তবে যদি কোনো কারখানা মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় করে ছুটি বাড়ায় তাহলে বাড়াতে পারেন। তবে শ্রমিকদের অবশ্যই কর্মস্থল এলাকা থাকতে হবে।
রোববার (৯ মে) রাজধানীর শ্রম ভবনে আয়োজিত ‘আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি)’ সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান কচি, বিকেএমইএ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের ওভারটাইম করাবেন কি-না ছুটি দেবেন, সেটি মালিক ও শ্রমিক পক্ষ নির্ধারণ করবেন।
তিনি বলেন, সরকারি ছুটি তিন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে অনেক গার্মেন্টসে পাঁচ থেকে সাত দিন ছুটি দিয়েছে। ছুটি যাই হোক শ্র্রমিকদের কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে। এখনও যেসব গার্মেন্টস চালু রয়েছে। তারা যদি মনে করেন ছুটি বাড়াবেন, শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বাড়াতে পারেন।
এছাড়াও আগামীকালের মধ্যে সব গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করা আহ্বান জানান মন্ত্রী। এর আগে আলোচনা পর্বে সরকার ঘোষিত তিন দিনের ছুটির পরিবর্তে পোশাক শ্রমিকদের জন্য পাঁচ দিন করার দাবি জানান গার্মেন্ট শ্রমিক নেতারা।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, বছরে দুটি ঈদ উদযাপন করে। তাই শ্রমিকরা তিন দিনের ছুটি মানতে পারছেন না। ছুটি আরও দুদিন বাড়ানোর দাবি করছি।
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সালাহউদ্দিন স্বপন বলেন, বছরের স্বজনদের সঙ্গে দুবার ঈদে মিলিত হন শ্রমিকরা। সারা বছর কষ্ট করে মেশিন চালিয়ে কাজ করেন এই দিনে ছুটির আশায়। গ্রামে গিয়ে বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করবেন। এবার করতে পারছেন না। ফলে মিরপুর ও কচুক্ষেতে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয়েছে। এটা বেড়ে গেলে সমস্যা হবে। এছাড়াও নেতারা আগামীকালের মধ্যে সব শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিজিএমইএ সহ-সভাপতি এম এ মান্নান কচি বলেন, আমরা ছুটি বাড়াতেও প্রস্তুত। সরকার ছুটি বাড়ালে আমরা বাড়াব। ছুটি দিতে আমাদের আপত্তি নেই।