আমি আমার এলাকায় এলাকবাসীর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর একটা ভাস্কর্য বানাবো। এর আগে অবশ্যই যথাযত কতৃপক্ষের অনুমতি নেবো। তাদের ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে এটাই আমার প্রতিবাদ।
এই ভাস্কর্য দেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখবে জানবে শিখবে এই দেশের জন্ম ইতিহাসের কথা। এই সুন্দর দেশটির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানার সুযোগের জন্য রেখে যেতে হবে, কারা কারা এই দেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন, জীবন দিয়েছেন, ভাষার জন্য করা জীবন দিয়েছেন।
ক্ষুদিরাম, তিতুমীর, সূর্যসেন, প্রীতিলতা সবাই থাকবে এই ভাস্কর্যে। শের এ বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানীর অবদানও থাকবে এই ভাস্কর্যে। থাকবে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বমাখা ইতিহাসের কথা।
যারা ভাস্কর্যবিরোধী কথা বলেন তাদের পূর্ব পুরুষদের বেঈমান মীরজাফর, রাজাকারদের জায়গা এই ভাস্কর্যে হবে না। কারণ তাদের আদর্শের গুরুরা ব্রিটিশ পাকিস্তানিদের দালালি করেছে, এই দেশের মানুষের সাথে বেঈমানী করেছে । এই দেশের জন্য তাদের কোনো অবদান নাই।
এরা কিন্তু দুইদিন পর বলবে শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভাংতে হবে। আগেও এসব কথা ওরা বলেছে। ভুলে গেলে চলবে না এই দেশের ইতিহাস অসাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস। ঐ ইতিহাস কেউ পরিবর্তন করতে চাইলে এর পরিণামও ৭১ সালের মতই নির্ধারিত। [ফেসবুক থেকে]
লেখক: প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন।